বাংলাদেশের সাংসদ খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়।নিউটাউনে আবাসনের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হল টুকরো টুকরো করা মাংস। উদ্ধার প্রায় সাড়ে তিন কেজি টুকরো করা মাংস। তবে এই মাংস বাংলাদেশ সাংসদদের কিনা তা ফরেনসিক তদন্ত করে দেখা হবে। মঙ্গলবার সকালেই সাংবাদিক বৈঠক করে বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান জানিয়েছিলেন, যে ফ্ল্যাটে খুন করা হয়েছে সাংসদকে সেখানকার সোয়ারেজ লাইন এবং সেপটিক ট্যাংক খুলে দেখা হবে। তার কারণ, অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদে একটা আভাস তারা পেয়েছিলেন যে সেপটিক ট্যাঙ্কে সাংসদের দেহের টুকরো থাকতে পারে।
প্রসঙ্গত, কলকাতায় চিকিৎসা করাতে গিয়ে খুন হয়েছেন বাংলাদেশের ঝিনাইদহের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। কেটে ফেলা দেহ এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আর আনোয়ারুলের দেহাংশ না পাওয়ায় সাংবিধানিক জটিলতা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের সংসদে। ঝিনাইদহ-৪ আসনটিকে ‘শূন্য’ বলে ঘোষণা করা যাচ্ছে না। কারণ, শূন্য ঘোষণার আগে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া জরুরি। এদিকে, জাতীয় সংসদের ওয়েবসাইটে আনোয়ারুলের নাম সরিয়ে নেওয়ার পরেও সোমবার ফের যুক্ত করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিমের খুনের ঘটনায় রয়েছে নেপাল-যোগ। সিআইডি এখন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে। সূত্রের খবর, সেই কারণেই নেপাল যাচ্ছে সিআইডির একটি দল। তদন্তকারী আধিকারিকদের অনুমান, আনোয়ারুল খুনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত আখতারুজ্জামান কলকাতা থেকে কাঠমান্ডু হয়ে পালিয়েছেন। কোথায় গিয়েছেন, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে অনুমান, হয় দুবাই, নয়তো আমেরিকায় পালিয়েছেন অভিযুক্ত।
Discussion about this post