অনেকেরই ঘন ঘন ট্রেকিং করার নেশা থাকে। কিন্তু ট্রেকিং করা যেমন সাহসের প্রয়োজন তেমনই ঝুঁকিপূর্ণও বটে। এর জন্য বিশেষ ট্রেনিং নেওয়া প্রয়োজন। অনেক সময়ই সংবাদ মাধ্যমে আমরা খবর পাই ট্রেকিংয়ে বেরিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। পাহাড়ে ট্রেকিংয়ে শরীরকেও সেই ভাবে মানিয়ে নিতে হয়, কারণ সমতল থেকে উচ্চতার দিকে উঠলে শরীরকে সেই ভাবে খাপ খাওয়াতে হয়। কারণ উচ্চতার দিকে গেলে শ্বাস নেওয়ার কষ্ট হতে পারে। তাছাড়া নানান প্রতিকূল পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে হয়। বাঙালি সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পরে ঘুরতে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে বরফ মোড়া পাহাড় বিশেষ আকর্ষণীয় স্থান। এই ক্ষেত্রে ট্রেকিং এ যাওয়ার আগে বেশ কিছুদিন আগে থেকে ট্রেনিং নেওয়া প্রয়োজন। বিশেষ ভাবে শরীর ও মনকে তৈরি করা দরকার। নাহলে বাড়তে পারে ঝুঁকি।
ডায়েটের মধ্যে থাকতে হবে বেশ কয়েকদিন
পাহাড়ে ট্রেকিং করার আগে বেশ কয়েকদিন কড়া ডায়েটে থাকুন। বিশেষ করে ৮-১০ হাজার ফুট উপরে যাওয়ার পরিকল্পনা করলে, তার কয়েক মাস থেকেই ভালো ডায়েট মেনটেন করুন। বেশি করে ক্যালোরি জাতীয় খাবার ও একটু একটু করে ডেইলি পরিমাণমত মত জল খাওয়ার অভ্যাস করুন। খেজুর, আমন্ড, কিশমিশ, কাজু এইসব খাবার বেশি করে খান।
ফিট থাকতে হবে
পাহাড়ে ট্রেকিং করার পরিকল্পনা নিলে নিজেকে অবশ্যই ফিট রাখুন। দুর্গম পাহাড়ে পাড়ি দেওয়ার জন্য নিজের ফিটনেস খুব বেশি জরুরি। ট্রেকিংয়ের যাওয়ার আগে নিয়মিত শরীরচর্চা, ব্যয়াম, যোগা করুন।
মনের দৃঢ়তা বৃদ্ধি করা
পাহাড়ে ট্রেক করতে গেলে শুধু শরীর ফিট রাখলে চলে না মনের ফিটনেস বিশেষ প্রয়োজন। বিশেষ করে পাহাড়ে ট্রেকিংয়ে গিয়ে প্রতিকূল পরিবেশের সম্মুখীন হলে ভেঙে পড়বেন না। মাথা ঠাণ্ডা রাখা বিশেষ জরুরি। না হলে বাড়তে পারে বিপদ। তাই পাহাড়ে ট্রেকিংয়ের আগে মনের দৃঢ়তা বিশেষ প্রয়োজন।
প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র রাখতে হবে
পাহাড়ে ট্রেকিং করতে যদি চান তাহলে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে রাখুন। যেমন পাহাড়ে ট্রেকিংয়ে আমাদের প্রয়োজন হয় তাঁবু, ক্যাপ, এছাড়া দরকার হয় প্রয়োজনীয় রোগের ওষুধ, গরম জামা কাপড়। বিশেষ করে জ্বরের ওষুধ, পেট খারাপের ওষুধ, ওআরএস, ন্যাজাল ড্রপ অবশ্যই রাখবেন। সাথে আপনার বুক পকেটে রেখে দিন নিজের নাম, ফোন নম্বর, ও পরিচয় পত্র। তাছাড়াও ব্যান্ডেজ, নিক্যাপ, বাম স্প্রে সঙ্গে নিলেও কাজে লাগতে পারে।
Discussion about this post