বর্ষায় ঘরের কোণে মন বসেনা। মন চায় একটু অন্যরকম কোথাও ঘুরে আসতে। পাহাড়ে অনেকেই যায়, তবে জঙ্গলের পথে এদিক ওদিক অনেক জলপ্রপাত ছড়িয়ে থাকে। বর্ষায় যদি বিভিন্ন প্রকারের জলপ্রপাত দেখতে চান তাহলে যেতে হবে কেওনঝরে। বর্ষায় কেওনঝড়ের রুপ হয় অনবদ্য। কেওনঝড় জেলাটি ওড়িশা রাজ্যের একটি জেলা। জনসংখ্যার ভিত্তিতে কেওনঝড় রাজ্যটি ৩০ টি রাজ্যের মধ্যে ৮ম। ওড়িশা রাজ্যের ৪.২৯% লোক কেওনঝড় জেলাতে বসবাস করেন। এই জেলাতেই অবস্থিত বিভিন্ন রকমারি জলপ্রপাত, আছে সবুজ পাহাড়। চরাই – উৎরাই পেরিয়ে বর্ষায় ভ্রমণের আনন্দ নেওয়ার জন্য যেতেই পারেন কেওনঝড়ে।
হান্ডি ভাঙ্গা জলপ্রপাত
শান্ত নিরিবিলি জায়গায় জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত এই জলপ্রপাত দেখতে বিশাল সংখ্যায় পর্যটক ভিড় করে। এই জলপ্রপাত দেখতে গেলে জঙ্গলের ভিতর থেকে যেতে হবে। পাথুরে জমির উপর বয়ে চলছে ছোট্ট নদী, সেই নদী পার করলেই পড়বে হান্ডিভাঙা জলপ্রপাত।
ভীমকুন্ড
বিশেষ করে বর্ষা ঋতুতে ভীমকুন্ড জলপ্রপাতটি অপরূপ সৌন্দর্যে সেজে ওঠে। লোক কথায় আছে, মহাভারতের জনপ্রিয় চরিত্র পাণ্ডবরা এই স্থানে ছিলেন। যার জন্য এই স্থানের নাম ভীমকুণ্ড। সেই প্রতীক হিসাবে বিশালাকৃত ভিমের মূর্তি আছে। বিশালাকৃতির এই জলপ্রপাতের আওয়াজ দূর থেকে আপনার কানে ভেসে আসবে। বিশেষ করে বর্ষায় ঋতু হচ্ছে এই স্থানের ভ্রমণের জন্য সেরা ঋতু।
খন্ডধর জলপ্রপাত
জলপ্রপাতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে তাহলে সবুজ পাহাড়ে ঘেরা খন্ডধর জলপ্রপাত ঘুরে আসতেই হবে।এই জলপ্রপাত সারা বছর বর্ষার জলে পুষ্ট থাকে।
বড়াঘাগরা ও সানঘাঘরা
কেওনঝড় থেকে ৫ কিলোমাতার দূরে অবস্থিত এই জলপ্রপাত। চারপাশে সবুজ পাহাড় ও বন দিয়ে ঘেরা বড়াঘাগড়া ও সানঘাঘরা।প্রকৃতির সৌন্দর্যের মাঝে আপনি হারিয়ে যেতে পারেন। ছোট ছোট অসংখ্য জলাধারও আছে।
গুন্ডিচাঘাঘি জলপ্রপাত
চারিদিকে জঙ্গল ঘেরা এই জলপ্রপাতকে ‘ওড়িশার নায়াগ্রা’ ও বলা হয়। মুসালা নদী ওপর অবস্থিত এই জলপ্রপাত ধাপে ধাপে পড়তে থাকায় দূর থেকে এই জলপ্রপাতকে দেখতে বড্ড বেশি ভালো লাগে।
Discussion about this post