ধরুন শিয়ালদা শাখার কোনও স্টেশন থেকে আপনি ট্রেনে উঠলেন। দমদম বা নিউ গড়িয়া স্টেশনে নেমে আপনি মেট্রো ধরবেন বলে। ফলে আপনাকে মেট্রো স্টেশনে আলাদা করে টিকিটের লাইনে দাঁড়াতে হবে। এটা একটা ঝঞ্ঝাট বটে। ভিড় ঠেলে লাইন দিয়ে টিকিট কেটে দৌড়ে মেট্রো ধরা। অফিস টাইমে তো এটাই একটা বড় সমস্যা। এবার এই ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্তি দিতে ভারতীয় রেল নিয়ে এল ওয়ান ইন্ডিয়া ওয়ান টিকিট। খুব শীঘ্রই যা কলকাতায় চালু করতে চলেছে ভারতীয় রেল।
ইন্ডিয়ান ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন লিমিটেড বা আইআরটিসি, দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন বা ডিএমআরসি এবং রেলওয়ে ইনফরমেশন সিস্টেম বা ক্রিস একযোগে এই সিস্টেম নিয়ে এল। যাতে যাত্রীরা এক টিকিটেই লোকাল ট্রেন ও মেট্রোতে সফর করতে পারেন। আপাতত ‘ওয়ান ইন্ডিয়া-ওয়ান টিকিট’-এর যে উদ্যোগ রেল মন্ত্রক নিয়েছে, তার প্রথম ধাপ শুরু হচ্ছে রাজধানী দিল্লি থেকে। পরে ধাপে ধাপে কলকাতা-সহ দেশের অন্যান্য মেট্রো শহরে চালু হবে।
ওয়ান ইন্ডিয়া-ওয়ান টিকিট’ আসলে কি
এটি একটি কিউ আর কোড বেসড টিকেটিং সিস্টেম। দিল্লি মেট্রো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, আপাতত চালু হচ্ছে বেটা ভার্সান। IRCTC ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপ থেকে এই কিউ আর টিকিট কাটা যাবে। যার সাহায্য দিল্লির লোকাল ট্রেন এবং মেট্রো রেলে একযোগে সফর করা যাবে। জানা যাচ্ছে, এই নতুন সিস্টেমে টিকিট কাটলে প্রত্যেক যাত্রীর জন্য তৈরি হবে আলাদা কিউ আর কোড। যা ওই যাত্রীর অ্যান্ড্রয়েড বা আইফোনে সেভ থাকবে। লোকাল ট্রেনে বা স্টেশনে সেই টিকিট দেখাতে হবে টিকিট পরীক্ষকদের। আবার এই টিকিটেই থাকা কিউ আর কোড স্ক্যান করে মেট্রো স্টেশনে প্রবেশ করা যাবে। ফলে আলাদা করে আর মেট্রোর টিকিট কাটতে হবে না। বর্তমানে দিল্লি মেট্রোতে চড়ার জন্য টিকিট কাটলে তার বৈধতা থাকে শুধুমাত্র সে দিনই। এবার থেকে ১২০ দিন আগেও কাটা যাবে টিকিট। একটি টিকিটে চারদিন যাতায়াত করা যাবে। আবার প্রয়োজনে যাত্রার আগে সেই টিকিট বাতিলও করতে পারবেন যাত্রীরা। আপাতত দিল্লি এবং এনসিআর এলাকায় ওয়ান ইন্ডিয়া ওয়ান টিকিট সিস্টেম চালু করা হয়েছে। একমাত্র বিটা ভার্সানে এই সিস্টেম পাওয়া যাচ্ছে এখন। জানা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই তা অ্যান্ড্রয়েড এবং আইফোনের জন্য রেগুলার ভার্সান চলে আসবে। তখন দেশের অন্যান্য শহরেও মোবাইলে পাওয়া যাবে ওয়ান ইন্ডিয়া ওয়ান টিকিট।
Discussion about this post