সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি ফুটবল ফুটবলের দুই প্রিয় নাম মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল। একদলপূর্ব, আর একদল পশ্চিম ।একদল ইলিশ আর একদল চিংড়ি। একদল মশাল একদল পাল তোলা নৌকো। কোন কিছুতেই মিল নেই ।কিন্তু এবার ২০২৪ সালে মোহনবাগান ,ইস্টবেঙ্গল এক জায়গায় মিলিত হতে পেরেছে একটি ব্যাপারে ।তা হলো সৌরভ গাঙ্গুলী কে সম্মান জানানোর ক্ষেত্রে । আগামী ২৯ শে জুলাই মোহনবাগান দিবসে এবারের’ মোহনবাগান রত্ন ‘পাচ্ছেন বাংলার গৌরব সৌরভ গাঙ্গুলী। বৃহস্পতিবার দুপুরে এক্সিকিউটিভ কমিটির বৈঠকের পর মোহনবাগান ক্লাব থেকে ঘোষণা করা হয় যে এ বছর ‘মোহনবাগান রত্ন’ পাচ্ছেন সৌরভ ।তার ঘন্টাখানেকের মধ্যে ইস্টবেঙ্গল থেকে ঘোষণা করা হলো এ বছর ক্লাবের ‘ভারত গৌরব’ স্বীকৃতি দেওয়া হবে সৌরভকেই। সব মিলিয়ে একদিনে জোড়া পালক সৌরভের মুকুটে, মোহনবাগানের পর এবার ইস্টবেঙ্গল। আগামী পয়লা আগস্ট ইস্টবেঙ্গলের তরফে ‘ভারত গৌরব ‘সম্মান পাচ্ছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
সেই দিনই পালিত হবে ইস্টবেঙ্গল দিবস। সৌরভ বরাবরই ফুটবলপ্রেমী। একটা সময় সেন্ট জেভিয়ার্স দলকে নেতৃত্ব দিতেন। একাধিক সাক্ষাৎকার কিংবদন্তি জানিয়েছেন যে, ক্রিকেটার নয়, ছোটবেলা থেকে ছোটবেলা তিনি স্বপ্ন দেখতেন বড় হয়ে ফুটবলকে পেশা করবেন ।ক্রিকেটার হওয়ার পরেও কমেনি তার ফুটবল প্রেম। দিয়াগো মারাদোনার ভক্ত সৌরভ। ভালো লাগে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকেও। রোনাল্ডোর জন্যই ইউরো কাপে পর্তুগালকে সমর্থন করেছেন কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন সৌরভ। সৌরভের ক্রিকেট জীবন শুরু হয়েছিল স্যার দুখিরাম মজুমদার কোচিং সেন্টারে হঠাৎ ক্লাবের জুনিয়ার বিভাগে। তারপর স্পোটিং ইউনিয়ন হয়ে খেলেছেন। মোহনবাগান ক্লাবে ৯ বছর খেলেছেন ইস্টবেঙ্গলে খেলেছেন দু বছর। সৌরভ বাঙালি কে নতুন করে লড়াই করতে শিখিয়েছে ।সৌরভ মানে হার না মানা মনোভাব। সৌরভ মানেই বাদ পড়েও ফিরে আসা। তাই সুবোধ সরকার সৌরভকে নিয়ে কবিতা লেখেন ‘বেহালার ছেলেটা’ যেখানে বলেছেন, “কয়েক হাজার মাইল দূরে বেহালার ছেলেটা ব্যাট করছে।
শান্ত কিন্তু রাগী। স্থির কিন্তু তেজী ।সমাহিত কিন্তু ছটফটে। মা দেখো, কি সুন্দর দেখাচ্ছে আমাদের ছেলেটাকে! সৌরভকে নিয়ে বাংলা ব্যান্ড চন্দ্রবিন্দু গান রচনা করেছেন, “এ এভাবেও ফিরে আসা যায়”। শুধু একজন মহৎ ক্রিকেটার নন, ভারতবর্ষের সর্বকালের সেরা ক্যাপ্টেন নন ,খেলা ছাড়ার পর সৌরভ সঞ্চালকের ভূমিকাতেও সমানভাবে উজ্জ্বল ।সমানভাবে সফল একজন প্রশাসক হিসাবে, একজন ধারাভাষ্যকার হিসেবে। শেষ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানকেও এক সূত্রে গেঁথে দিলেন তিনি। মহারাজা, তোমায় সেলাম।
Discussion about this post