নীতি আয়োগের বৈঠক ওয়াক আউট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ করেছিলেন মাইক বন্ধ করে দিয়ে তাঁকে বলতে দেওয়া হয়নি। সোমবার বিধানসভায় একটি প্রস্তাব আনা হয় বিষয়টি আলোচনা ও নিন্দা জানানোর জন্য। প্রতিবাদে বিজেপি পরিষদীয় দলের পক্ষ থেকে কক্ষ ছেড়ে বেড়িয়ে বাইরে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
২৭ শে জুলাই দিল্লিতে ছিল নীতি আয়োগের বৈঠক। ওই বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ দেবেন কিনা তা নিয়ে বিস্তর জল্পনা ছিল। শেষমেষ বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মমতা। ইন্ডিয়া জোটের অধিকাংশ শরিক যখন বাজেটে বৈষম্যের কথা তুলে নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন সেই সময় মমতার নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধী পক্ষ থেকে প্রশ্ন উঠতে থাকে। মাত্র ২ ঘণ্টার মাথায় বৈঠক ছেড়ে ছিলেন নেত্রী। অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁকে বলতে দেওয়া হয়নি। অবশ্য এই বিষয়ে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মমতা। জানিয়ে ছিলেন বলতে না দেওয়া হলে বৈঠক ছেড়ে বেড়িয়ে আসবেন। সেই ছবিই ভেসে ওঠে বৈঠকের দিনে। বিরোধীদের কন্ঠরোধের অভিযোগ তুলে তিনি বেড়িয়ে আসেন বৈঠক ছেড়ে।
সোমবার বিধানসভায় একটি প্রস্তাব আনা হয় বিষয়টি আলোচনা ও নিন্দা জানানোর জন্য। ড: মানস ভুঁইয়া সেই প্রস্তাবটি আনেন। আলোচনা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিজেপি পরিষদীয় দলের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে বিধানসভার কক্ষ ত্যাগ করেন বিজেপি বিধায়করা। বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রীর আচরন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। যদিও গত ২৪ ঘণ্টা আগে মুখ্যমন্ত্রীর মাইক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়ত। তিনি জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে তাঁকে আগে বক্তব্য রাখার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল। নিজের জন্য বরাদ্দ পুরো সময় বক্তব্য রেখে বাইরে এসে মিথ্যা অভিযোগ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় নেতার বক্তব্যের পর এদিন বঙ্গ বিজেপির পক্ষ থেকে বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
নীতি আয়োগের বৈঠকে বিরোধী জোট থেকে একাই অংশগ্রহণ করেছিলেন মমতা। বৃহত্তর স্বার্থে ও বাংলার স্বার্থে এই যোগদান বলে জানানো হয় তৃণমূলের তরফে। বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বেড়িয়ে যাওয়া নিয়ে মুখ খুলেছেন অনেকেই। রাজনৈতিক কারবারিদের একাংশের দাবি আগা থেকে গোড়া পুরোটাই ছিল তৃণমূল সুপ্রিমোর নাটক।
Discussion about this post