প্রায় সময়ই খবরের শিরোনামে থাকেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সবসময়ই চর্চিত হন নেটদুনিয়ায়। সম্প্রতি, তাঁর বিবাহ নিয়ে নানা জ্বল্পনা সামনে এসেছিল। সম্পর্কের ভাঙন নানাভাবে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল গত বছরের শেষ সময় থেকেই। আর তা আরও প্রকট হয়ে ওঠে যখন তিনি তার বিয়ের আংটি খুলে ফেলেন। কিন্তু অভিষেকের দেওয়া আংটি খুলে ফেললেও তাঁর আঙুলে দেখা যাচ্ছে ভি আকৃতির এই আংটি। যে আংটি কেবল বিবাহিত মহিলারা পড়ে থাকেন। তবে অভিষেকের দেওয়া স্মৃতি মুছে ফেললেও কেন এই আংটি সর্বক্ষণ পড়ে থাকেন অভিনেত্রী। সেই প্রশ্নতেই এবার উত্তাল নেটপাড়া।
জানা গিয়েছে, ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন যে ভি আকৃতির আংটি পড়ে থাকেন সেটির নাম হল ভ্যাঙ্কি আংটি। সাধারণত দক্ষিণ ভারতে বিয়ের পর মহিলারা পড়ে থাকেন এই আংটি। মঙ্গলসূত্র এবং এই আংটি বিবাহিত মহিলাদের চিহ্ন বলা যেতে পারে। এই আংটি হীরে কিংবা সোনার হতে পারে। ঐশ্বর্য যে আংটি টি পড়েন সেটি হীরের। অনামিকা আঙুলে পড়ে থাকেন তিনি। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির যাওয়ার পর নববধূর আঙুলে পরিয়ে দেওয়া হয়। সাধারণভাবে বৌদি অথবা কাকিমা উপহার দিয়ে থাকেন এটি। উল্লেখ্য, দক্ষিণ ভারতের রাজ পরিবারের মেয়েরা এই আংটি পড়ার চল প্রথম শুরু করে। তারপর থেকেই সেখানে প্রত্যেক নববধূর হাতে এই ভাদুঙ্গিলা পড়ার নিয়ম রয়েছে।
এই আংটি আবার ম্যা ঙ্গালুরুর বান্ট সম্প্রদায়ের কাছে অন্য গুরত্ব রয়েছে। এই বান্ট সম্প্রদায়ের মানুষ দক্ষিণ কর্ণাটকের উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাস করে থাকেন। এই প্রজাতির মানুষেরা নিজেদের নাগ বংশের বংশধর বলে মনে করেন। সাপকে নাগদেবতা বলে পূজিতা করেন। তাঁদের মতে, এই আংটি বিয়ের পর সমস্ত অশুভ শক্তি থেকে তাদের রক্ষা করবে। অর্থাৎ বিবাহবন্ধনে এই আংটি অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ অর্থ বহন করে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, অভিষেক বচ্চনের দেওয়া আংটি খুলে ফেললেও কেন এই ভ্যাঙ্কি বা ভাদুঙ্গিলা পড়ে রয়েছেন অভিনেত্রী? তবে কি বিবাহ বিচ্ছেদ এখনও আইন মেনে হয়নি তাদের? তাই তিনি এই আংটি এখনও পড়ে রয়েছেন? নাকি তাদের বিচ্ছেদের খবর নিছকই উড়ো খবর? সেই প্রশ্নই রয়ে গিয়েছে নেটিজেনদের মনে।
Discussion about this post