শনিবার থেকে আবারো উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। লাখো ছাত্রছাত্রী এদিন দখল নেয় শহীদ মিনারের। পাশাপাশি কুমিল্লায় চলে তুমুল সংঘর্ষ ছাত্র পুলিশের মধ্যে। হতাহত বহু। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, অন্তত আটজন আন্দোলনকারী নিহত হয়েছেন। আহত বহু। পুলিশের আক্রমণের মুখে কুমিল্লার রাজপথ ধরে বহু আন্দোলনকারী কে ছুটতে দেখা যায়। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, বহু ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে আক্রমণকারীর ভূমিকায় রাস্তায় নেমে পড়েছে।
ঢাকার সমাবেশে ছাত্র শিক্ষকদের সঙ্গে বহু প্রতিষ্ঠিত সাংস্কৃতিক কর্মীও যোগ দেন।এদিন আন্দোলনকারীরা ঘোষণা করে দেন তাদের এখন এক দফা দাবি। শেখ হাসিনার মন্ত্রী সভার পদত্যাগ।এই এক দফা দাবিতে রবিবার হাজার হাজার ছাত্র ঢাকার রাস্তায় নেমেছিলেন। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় তাঁদের সংঘর্ষ হয়েছে। সরাসরি নেতা, মন্ত্রীদের বাড়িতে ঢুকে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৯৮ জনের। অভিযোগ উঠেছে, আন্দোলনকারীদের অনেকের হাতেই পিস্তল, বন্দুক, রাইফেলের মতো আগ্নেয়াস্ত্র এবং লাঠি, ধারল অস্ত্র ছিল। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের সংকট ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। কারফিউ জারি করে সেনাবাহিনী নামিয়ে প্রাথমিকভাবে যে ধাক্কা সামলানো গিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছিল, এখন মনে হচ্ছে বাস্তবে সেটা সম্ভব হয়নি। সামরিক বাহিনীর জুনিয়র অফিসারদের মধ্যে অনেকেই এই দমনপীড়নের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের আন্দোলন ভারতের পক্ষে মাথা ব্যাথার অন্যতম বড় কারণ। যেহেতু
এই আন্দোলনের মধ্যে ভারত বিরোধিতার একটা সুর রয়েছে। শনিবারের আন্দোলন ঢাকা ছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ে। রবিবার পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে ওঠে।
Discussion about this post