ছয় গোলের নাটক পাল্টা নাটকের পরই শেষ পর্যন্ত সাডেন ডেথে ৬-৫ গোলে জিতে মোহনবাগান সেমিফাইনালে উঠলো। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে কামিংস বা দ্বিমিত্রি নন গোল বাঁচিয়ে নায়ক আন্তমহাদেশীয় কাপে ভারতীয় দলের সুযোগ না পাওয়া গোলরক্ষক বিশাল কাইত। যার জন্য সমালোচনার হাত রক্ষা পেয়ে গেল মোহনবাগানের বেহাল রক্ষণ। বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকলেও গোলমুখ কিছুতেই খুলতে পারছিল না মোহনবাগান। মাঝখান দিয়ে আক্রমণে উঠে পাঞ্জাবে রক্ষনকে একেবারেই পরাস্ত করতে পারছিল না সুহেলরা। স্টুয়ার্ড কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও তা ফলপ্রসু হয়নি। স্রোতের বিপরীতে পেনাল্টি থেকে এগিয়ে যায় পাঞ্জাব । বিনীত রাই মোহনবাগান বক্সের মধ্যে ঢুকলে তাকে স্লাইডিং ট্যাকেল করেন আলবার্তো । রেফারি পেনাল্টি নির্দেশ দিলে গোল করতে ভুল করেননি লুকা। গোল শোধের জন্য এরপরে মরিয়া হয়ে ওঠে মোহনবাগান। বাঁ দিক থেকে বারবার আক্রমণ শানাচ্ছিল লিস্টন। ৪৫ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত ফল পায় মোহনবাগান। লিটনের পাশ থেকে মাটি ঘেঁষা শট নেন স্টুয়ার্ট ।সেই বল সোহেলের পায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে গোলে চলে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে তিন মিনিটে সাহলের থ্রু থেকে পাঞ্জাব বক্সে ঢুকে ডান পায়ে সঠিক ভুল করেন মনবীর। অতি আক্রমণে সবুজ মেরুন রক্ষণ কাঁপিয়ে ৬২ মিনিটে বাঁ পায়ের গোলার মত শটে জাল কাঁপান ফিলিপ। এরপর ভিদালের গোলে ৩-২গোলে এগিয়ে যায় পাঞ্জাব। ৮০ মিনিটে সমতা ফেরান কামিংস। শুভাশিসের ভেসে আসা ক্রস মানবীর রিসিভ করে সাজিয়ে দেন কামিংস কে ।গোল করতে ভুল করেনি অস্ট্রেলীয় বিশ্বকাপার। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ফল ৩-৩ থাকায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে । প্রথম শটে পাঞ্জাব গো করলেও মোহনবাগানের প্রথম শট নিতে গিয়ে কামিংস পোস্টে মারেন । ৪-৩ গোলে এগিয়ে থাকা অবস্থায় পাঞ্জাবের পঞ্চম শট পোস্টে মারে নভোসেলেচ। এরপর সাডেন ডেথে ধনচন্দ্র মিতাইয়ের শট বিশাল বাঁচিয়ে দিলে মোহনবাগানের সেমিফাইনালে পৌঁছায়। জয়ের আনন্দের মাঝে মলিনার কাছে কাঁটা হয়ে রইলো রক্ষণ।
Discussion about this post