বাংলাদেশের সেনাবাহিনী কি ধ্বংসের পথে? সেনাবাহিনীকে কি কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না? তবে কি বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিনত হবে? এমন নানা বিষয় উঠে আসছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে
সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান দেশের শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে সেনাবাহিনীর মধ্যে কঠোর হয়েছেন। এর মধ্যে সেনাপ্রধান ও ইউনূসের মধ্যে ফাটল ধরেছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। ইউনূস যে মোটেই বাংলাদেশে নির্বাচন চান না, সেটা বুঝে গিয়েছেন সেনাপ্রধান। ইউনুস যখন জাতি সংঘে অধিবেশনে আমেরিকায় গিয়েছিলেন, তখনই সেনাপ্রধান রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে মতামত জানিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও সেরকম কোনও নির্বাচনের কথা আসেনি বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের তরফে। এদিকে সেনাপ্রধান বারবার বলেছেন, তিনি বাংলাদেশের একটি ক্ষমতার উৎস। সেনাপ্রধানের আপত্তিতেই ইউনুস এবং ছাত্ররা রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিনকে পদ থেকে সরাতে পারেনি। যদিও অভ্যুত্থানের পর সেনা সরাসরি ক্ষমতা দখলও করেনি। তারা অন্তবর্তী সরকারকে সমর্থন করেছে। কিন্তু সেই সরকার সব দিক থেকে ব্যর্থ বলে মনে করেন বাংলাদেশের মানুষ ও সেনাবাহিনী। এই নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, নিজেদের মধ্যে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি করলে দেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। এমনকি তিনি হুশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, আমাকে এমন কিছু করতে বাধ্য করবেন না। অর্থাৎ তিনি বলতে চেয়েছেন, সামরিক শাসনের বিষয়টি। সেটা বুঝতে কারও বাকি নেই। তারপর তিনি মধ্য আফ্রিকাতে গিয়েছিলেন। দেশেও ফেরেন তিনি। তারপর থেকেই জল্পনা ছড়িয়েছে। তিনি ঢাকা বিমানবন্দরে না নেমে তেজগাঁও বিমানবন্দরে নামেন তিনি। তবে কি এমন কোনও সম্ভাবনা ছিল, যে তিনি ঢাকা বিমান বন্দরে নামলে পদক্ষেপ করতে পারেন ইউনুস? এই আশঙ্কা থেকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেনাপ্রধান? এই সমস্ত প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
তবে শোনা যাচ্ছে, সেনানিবাসে একাধিক গ্রুপ তৈরি হয়েছে। তৈরি হচ্ছে মতানৈক্য। আর সেটা কাটানোর জন্য সেনা কর্তা ও সেনা সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পাশাপাশি তাদের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেন। গোপন সূত্রে খবর, একটু কঠোর হন তিনি। তবে সেনা অভ্যুত্থানের খবর একেবারেই ভুয়ো। তবে সেনাপ্রধান দেশের আইনশৃঙ্খলা আয়ত্তে আনতে কঠোর হচ্ছে, তাতে সন্দেহ নেই।
Discussion about this post