হাসিনা সরকারের পতন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের গঠনের পর থেকেই বাংলাদেশে যে সমস্ত ঘটনা ঘটে চলেছে তার কেন্দ্রবিন্দু যেন সে দেশের সেনাপ্রধান। প্রতিনিয়ত খবরের শিরোনামে উঠে আসছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী। এবার শোনা যাচ্ছে ফজসুর রহমান ও কামরুল হাসান সহ ১২ জন সেনা কে নজর বন্দি করা হয়েছে। কি কারনেই নজরবন্দি তাদের ভবিষ্যতেই বা কি কোন পরিস্থিতিতে রয়েছেন তারা, এই সমস্ত জল্পনা যেন আরও জোরালো করেছে বিভিন্ন মহলের আলোচনা।
গত সপ্তাহেই সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান মধ্য আফ্রিকাতে গিয়েছিলেন সরকারি সফরে। সেখান থেকে তিনি ফিরেও আসেন। তবে তার মাঝে বাংলাদেশে ঘটে গিয়েছে বেশ কিছু ঘটনা। সেনাপ্রধানের অনুপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে চলেছে ষড়যন্ত্র। হয়েছে একাধিক বৈঠক। এমনকি সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে তাকে নাকি গ্রেফতার করার পরিকল্পনা হয়েছিল। কিন্তু সেনাপ্রধান সমস্ত পরিকল্পনা বানচাল করে দেন। তার বিমান ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ না করে, তেজগাঁও বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর ফলেই তার বিরুদ্ধে আর কিছু করা সম্ভব হয়নি। তবে সেনাবাহিনীর মধ্যে বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা চলছে বলে খবর। এমনকি একটি ভয়ানক খবর সামনে এসেছে। পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন আইএসআই নাকি বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে ঢুকে ষড়যন্ত্র করছে। তবে এবার আর চুপ থাকছেন না সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। তিনি এই সমস্ত ঘটনা প্রতিরোধ করতে এবং দেশে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। খবর রয়েছে নজর বন্দি করা হয়েছে বেশ কিছু ১২ জন সেনা কর্তাকে।
উল্লেখ্য যিনি বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদের কথা বলেন তাকে মৌলবাদীরা নিকেশ করবে এই তথ্য সামনে আসতেই অতি সক্রিয় অজিত ডোভালের দল। এ চার অফিসার সেখানে পৌঁছেই গোটা বিষয়টি অপারেট করেন যেমন কোথায় সেনাপ্রধান নামবেন কোন পথ দিয়ে তিনি বাংলাদেশে ফিরবেন এবং সেনাপ্রধান কে কোথায় রাখা হবে এই সমস্ত কিছুর একটি ছক কষে নেওয়া হয়েছিল এই ঢাকা সফরের মাধ্যমেই। এই ছকের মাধ্যমে এবং বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের নিজস্ব ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টের তথ্য অনুসারে গোটা পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত সম্ভব হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পুরো বিষয়টি নজর রাখছে ভারত। অজিত ডোভাল নিজে সমস্ত ঘটনা প্রত্যক্ষ করছেন। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধুমাত্র কয়েকটি হুঁশিয়ারি মন্তব্য আর বার্তা দিয়েই কাজ হবে না। শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে হবে এই সংকট। অন্তত দেশের বৃহত্তর স্বার্থের জন্য এই কাজটি সেনাপ্রধানকেই করতে হবে।
Discussion about this post