বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এখন খবরের শিরোনামে। সেনাবাহিনীর অন্দরে চলছে একাধিক ঘটনা। এখন যে খবর সামনে আসছে, তা হল 12 জন সেনা কর্তাকে নাকি নজর বন্দি করে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে ফাইজুর রহমান, কামরুল হাসান রয়েছেন বলে খবর। তবে কি এবার তাদের গ্রেপ্তার করাও হতে পারে? উঠছে প্রশ্ন।
কিছুদিন আগেই সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান মধ্য আফ্রিকাতে গিয়েছিলেন সরকারি সফরে। সেখান থেকে তিনি ফিরেও আসেন। তবে তার মাঝে বাংলাদেশে ঘটে গিয়েছে বেশ কিছু ঘটনা। সেনাপ্রধানের অনুপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে চলেছে ষড়যন্ত্র। হয়েছে একাধিক বৈঠক। এমনকি সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে তাকে নাকি গ্রেফতার করার পরিকল্পনা হয়েছিল। কিন্তু সেনাপ্রধান সমস্ত পরিকল্পনা বানচাল করে দেন। তার বিমান ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ না করে, তেজগাঁও বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর ফলেই তার বিরুদ্ধে আর কিছু করা সম্ভব হয়নি। তবে সেনাবাহিনীর মধ্যে বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা চলছে বলে খবর। এমনকি একটি ভয়ানক খবর সামনে এসেছে। পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন আইএসআই নাকি বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে ঢুকে ষড়যন্ত্র করছে। তবে এবার আর চুপ থাকছেন না সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। তিনি এই সমস্ত ঘটনা প্রতিরোধ করতে এবং দেশে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। খবর রয়েছে নজর বন্দি করা হয়েছে বেশ কিছু সেনা কর্তাকে। শুধু তাই নয়, তাদের হুশিয়ারি পযন্ত দেওয়া হয়েছে।
এমনকি খবর রয়েছে, পুরো বিষয়টি নজর রাখছে ভারত। অজিত ডোভাল নিজে সমস্ত ঘটনা প্রত্যক্ষ করছেন। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধুমাত্র কয়েকটি হুঁশিয়ারি মন্তব্য আর বার্তা দিয়েই কাজ হবে না। শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে হবে এই সংকট। অন্তত দেশের বৃহত্তর স্বার্থের জন্য এই কাজটি সেনাপ্রধানকেই করতে হবে। আরো একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বাংলাদেশের দরকার একটি স্থায়ী সরকার। এটার জন্য নির্বাচন প্রয়োজন। এবং সেই নির্বাচন যাদের দ্রুত হয় তারই চেষ্টা চালাতে হবে। যদিও এগুলি ভালো করে বোঝেন সেনাপ্রধান। অতীতে বেশ কিছু সাক্ষাৎকারে নির্বাচন প্রসঙ্গ নিয়েও কথা বলতে শোনা গিয়েছে তার গলায়। আর এই কারণেই সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধেও দেশের অন্তরে চলছে ষড়যন্ত্র। এমন খবরও সামনে এসেছিল। এখন দেখার, এ সমস্ত সংকট কাটিয়ে উঠে কিভাবে মোকাবিলা করেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান।
Discussion about this post