শেখ হাসিনা তিনি সমাজ-মাধ্যমে একটি ভিডিওবার তার মাধ্যমে বেশ কিছু বক্তব্য রেখেছেন। তার প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছিল। গত বুধবার রাতে আন্দোলনকারীদের তরফ থেকে স্লোগান উঠলো গুঁড়িয়ে দাও তাড়াতাড়ি ৩২ নম্বরের দালান বাড়ি, আর এই ঘটনা আগেও ঠিক একই রকম ছবি দেখা গিয়েছিল, যেখানে ভেঙে গুড়িয়ে তছনছ করে দেওয়া হয়েছিল, লুটপাটে চলেছিল।
অশান্তই ছিল বাংলাদেশ, বিগত ৬ মাসে কোথায় শান্তির বাংলাদেশ কোথায় সাম্যের বাংলাদেশ? কথা তো ছিল হাসিনার দেশ ছাড়ার পর বাংলাদেশ শান্ত হয়ে যাবে কিন্তু হলো কোথায়?
তদারকি সরকার শান্তির বদলে কি করলেন, মুজিবের শেষ স্মৃতিটুকু মুছে দিলেন।
সেই ৫ ই আগস্ট এ ফিরে যাওয়া যাক, যেদিন শেখ হাসিনা দেশ ছেড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীত্ব ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর কি ছবি দেখা গিয়েছিল, বাড়িতে কিভাবে লুটপাট চালানো হয়েছিল, কিন্তু আজকের এই ঘটনায় স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদ এবং আওয়ামীলীগ বিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়ে গেল।
ছটা মাস তারপরে আবারো মুজিবের বাড়িতে তাণ্ডব চালালো বৈষমবিরোধী ছাত্ররা। শেখ হাসিনার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই নাকি এই হামলা সারারাত চলল ভাঙচুর আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হল বঙ্গবন্ধু ভবন। মুজিব স্মৃতির ধুলিস্যাৎ করে দিয়ে চলল অবাধে লুটপাট। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলতেই কি এই ধ্বংসলীলা?
এদিন ধানমন্ডিসহ আরও 15 টি জেলায় ভাঙচুর লুটপাট চলেছে। শেখ হাসিনার গণভবন হামলার সময় দেখা গিয়েছিল বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী বাইরে বসে বিরিয়ানি খাচ্ছে, এমনকি বাড়ির ভিতর থেকে হাঁস মুরগি নিয়ে পালিয়ে যেতেও দেখা গিয়েছে, হাসিনার অন্তর কাছ থেকে শুরু করে শাড়ি জামা কাপড় সবকিছুই দিয়ে বেরিয়ে গেছিলেন বিক্ষোভকারীরা।
আর এবার বঙ্গবন্ধু স্মৃতি মূজতে কি লুট করা হলো তার বাড়ি থেকে, তার বাড়িতে তো হামলা চালানো হল ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হল, সঘোষিত ছাত্র জনতার এই হামলা। ইতিহাসের এক একটি ইট ধ্বংস করতে তান্ডব চালাল ইউনুস বাহিনী। ধুলিস্যাৎ করে দেওয়া হল জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দিল মুজিবের স্মৃতি। কিন্তু কেন এই প্রতিক্রিয়া? এ কেমন বিকৃত মানসিকতা?
Discussion about this post