কোভিড ১৯-র নতুন রূপ ছড়িয়ে পড়ছে ভারতে। সম্প্রতি ভারতীয় SARS-CoV-2 জিনোমিক্স কনসোর্টিয়ামের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ভারতে এখনও পর্যন্ত ৩২৪টি কেভিড কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। যার মধ্যে KP.2 এর ২৯০টি এবং KP.1 এর ৩৪টি কেস রয়েছে। করোনা ভাইরাস KP.2 এবং KP.1 এর দুটি নতুন উপ-ভেরিয়েন্টের নাম দেওয়া হয়েছে ‘FLiRT’ l ‘FLiRT’ হল Omicron এর সাব-ভেরিয়েন্টের একটি গ্রুপ এবং এই দুটি এই গ্রুপের মধ্যে পড়ে। KP.1 এবং KP.2 তাদের মিউটেশনের প্রযুক্তিগত নামের উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীরা ‘FLiRT’ ডাকনাম করেছেন।
FLiRT-তে অন্তর্ভুক্ত KP.2 এবং KP.1 হল ওমিক্রন সাব-ভেরিয়েন্ট JN.1-এর বংশধর, যা গত বছর উদ্যোগ তৈরি করেছিল মানুষের মধ্যে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, Covid-19-এর JN.1 এবং এর উপ-ভেরিয়েন্ট, যার মধ্যে KP.1 এবং KP.2 রয়েছে, বৈশ্বিক পর্যায়ে উদ্বেগের বিষয়। গ্লোবাল হেলথ অর্গানাইজেশন KP.2 কে পর্যবেক্ষণের অধীনে রেখেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার ক্রমবর্ধমান মামলার কারণে বর্তমানে ভারতে হাসপাতালে ভর্তি এবং গুরুতর ক্ষেত্রে কোনও বৃদ্ধি নেই, তাই চিন্তা বা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই।
এর আগেও, কেরালা ছাড়াও তামিলনাডু, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, গোয়া, রাজস্থান এবং পাঞ্জাবেও কোভিড রোগী পাওয়া গেছে। নতুন করে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের মধ্যে কতজন করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন১ – এ আক্রান্ত, তা জানার জন্য লালারসের নমুনা জেনোম সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠানো হচ্ছে নিয়মিত।চিকিৎসকেরা বলছেন আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই, কিন্তু মাস্ক পড়া আবারও শুরু করা উচিত। কোভিড মহামারীর শুরুর সময়, ২০২০ সাল থেকে বারে বারে কেরালাতেই এই ভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে হতে দেখা গেছে। এবারেও ওই রাজ্যেই সবথেকে বেশি সংক্রমিত পাওয়া যাচ্ছে।
Discussion about this post