বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে এই মুহূর্তে কি ঘটছে? প্রশ্ন উঠে আসছে বিভিন্ন মহলে। কারণ বাংলাদেশের নতুন করে বেশ কিছু গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এই আবহে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের অন্দরে একটি চাপা উত্তেজনা কাজ করছে। এরমধ্যে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের রেজিস্ট্রেশন স্থগিত করে দিয়েছে। আর এর মধ্যে একটি ধারণা তৈরি হয়েছে, সেনা প্রধানকে কি এবার সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে? কারণ সেনাপ্রধানের একটি পুরনো বাইট ছড়িয়ে দিয়ে বলা হচ্ছে , সেনাবাহিনী উঠে যাচ্ছে। কিন্তু আদতে সেনাবাহিনীর যে রেস্ট্রেসি পাওয়ার ২ মাস ছিল, সেই মেয়াদ শেষ হয়েছে। গত ৮ই একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে আরও ২ মাসের জন্য। সেনাবাহিনী মাঠে আছে। আসলে লেফট্যানেন্ট জেনারেল ফাইজুর রহমান এবং লেফট্যানেন্ট জেনারেল কামরুল হাসান নিয়ে নানা মন্তব্য এবং জল্পনা উঠে আসছে।
প্রত্যেকের ধারণা, এবার হয়তো সেনাপ্রধান কে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করা হতে পারে। সেনাবাহিনীতে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, বিগত সরকারের আমলে যে যে শীর্ষ কর্তারা ছিলেন, তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সেনাপ্রধান কে সরানো যায়নি। সেরা প্রধান কে কি সরানোর কোনও পরিকল্পনা আছে এই সরকারের? এই প্রশ্ন উঠছে বাংলাদেশের অন্দরে।
বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানের যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটি বাতিল হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যেই আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। খবর রয়েছে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন সেনাপ্রধান। এমনকি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আগে যমুনাতে গিয়েছিলেন সেনাপ্রধান। তারপরে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখানেই আরো প্রশ্ন উঠে আসছে, সেনাপ্রধানকে কি সরানো যাবে? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এখনো পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মধ্যে সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে কোন আচরণ লক্ষ্য করা যায়নি। আর এই পরিস্থিতিতে যদি মোহাম্মাদ ইউনুস সেনাপ্রধান এবং রাষ্ট্রপতিকে সরাতে যান তাহলে দেশের পরিস্থিতি বদলে যাবে।
বিএনপি এর আগে বলেছিল, তারা রাষ্ট্রপতির অপসারণ চায় না। তারা আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ হোক সেটাও চায় না। কিন্তু আওয়ামীলীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হতেই সুর পাল্টেছে বিএনপি। কিন্তু এর ফলে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। তবে সেনাপ্রধান এবং রাষ্ট্রপতির দিকে হাত দিলে বড়সড়ো পরিবর্তন হবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, যেটা মোটেই ভালো হবে না দেশের জন্য। বলছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।
Discussion about this post