বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জ্জামান কে বলতে শোনা গিয়েছে তিনি রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চান না। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের একটা অংশ সেনাপ্রধানকে এই বিষয়টিতে সন্দেহের তালিকাতেই রাখছেন। তা এখন সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে সত্যিই কি সেনাপ্রধান রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেননি? নাকি ইতিমধ্যেই সে কাজটি তিনি করে ফেলেছেন?
গত বছর ৫ই আগস্ট সেনাপ্রধান কে আমরা সকলেই অন্য ভূমিকা দেখেছি। কিন্তু যতদিন গড়িয়েছে তিনি পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে নিজেকে অন্য অবস্থানে সরিয়ে নিয়েছেন। বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, সেই মুহূর্তে সেনা প্রধানের রাজনৈতিক অভিসন্ধি ছিল। আর সেই অভিসন্ধি টি এতটাই ভয়ংকর যে বাংলাদেশে ইরানের মত ইসলামিক বিদ্রোহের মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তাকে সেই জায়গা থেকে সরানো সম্ভব হওয়ার জন্য সেই পরিস্থিতি স্থায়ী হয়নি। এখন বর্তমান পরিস্থিতিতে সেনা প্রধান চাইছেন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করিয়ে তিনি চিন্তা মুক্তি হন।
বিগত কয়েক মাসে সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ উঠে এসেছে। বিরোধী দলগুলি তরফ থেকে বলা হচ্ছিল আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয় হিসেবেই তাকে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর বারংবার তারা প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় হিসেবে সেনাপ্রধান কে ব্যাখ্যা করে বোঝানোর চেষ্টা করছেন তার ষড়যন্ত্রের কথা। অর্থাৎ আত্মীয় হয়ে সেনাপ্রধানী বা কেন নানা রকম পরিকল্পনা করেছিলেন তখন। কিন্তু ৫ই আগস্টের পর বলা হয়েছে সেনাপ্রধান একটা বিপুল পরিমাণ অর্থ পেয়ে কানাডাতে পাচার করেছে। কিন্তু এই অর্থের উৎস কি? বলা হচ্ছে অভ্যুত্থানের সময় সেনাপ্রধানের যে ব্যর্থতা সেটা সম্পূর্ণই একটি ছদ্মবেশ অর্থাৎ সেনাপ্রধান হয়তো যে অ্যাকশনটি নিতে পারতেন সেটা তিনি নেননি। পাশাপাশি আন্দোলনের সময়কালে সেনারা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ওপর হামলা করেছে অর্থ আদায় করেছে, অনেক ক্ষেত্রে মেজররা ডাকাতি করে ধরা পড়েছে।
কিন্তু বর্তমানে সেনাবাহিনীতে অনেকেই মনে করছেন সেনাপ্রধান থাকা কালীন তারা যা কাজ করতে চায় তা হচ্ছেনা। কারণ সেনাপ্রধান চাইছেন গণতান্ত্রিক প্রভা ও তা বজায় থাকুক অর্থাৎ ইনক্লুসিভ ইলেকশন যেখানে আওয়ামী লীগ বিএনপি থেকে শুরু করে সমস্ত রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে। আবার সম্প্রতিককালে সেনাবাহিনীর অনেক ব্যর্থতা ও চোখে পড়ছে ৩২ নম্বর ধানমন্ডি তাদের চোখের সামনেই ভেঙে গড়িয়ে দেওয়া হল, প্রতিনিয়ত খুন ডাকাতী ধর্ষণ লুটপাট হয়েছে সে দেশে। এখন একটা বিষয় পরিষ্কার সেনা প্রধানের সঙ্গে দুর্নীতিবাজ অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে একটি প্রবল চিন্তা চলছে। তবে কি সত্যিই দখল হতে চলেছে সেনা দপ্তর? বাংলাদেশ সেনা প্রধান ওয়াকার উজ-জামানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশ সেনা সূত্রে খবর, পাকিস্তান ও জামাতের সঙ্গে মিলেই চক্রান্ত করা হয়েছিল। আর এখানে মাধ্যম হিসাবে কাজ করেছিলেন বাংলাদেশের লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমান।
Discussion about this post