বৈশ্বিক চাপ সামলাতে নাজেহাল বাংলাদেশ! বাংলাদেশে এখন নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। গত ১০ মে এদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি সরকার। তবে বাংলাদেশে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। তার মধ্যে একটি প্রধান দল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলো দেশে কিন্তু সেই ঘটনায় খুব একটা শোরগোল হতে দেখা গেল না দেশের অভ্যন্তরে। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশনের তরফে নিবন্ধ বাতিলের পর পরবর্তী নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকেও বিরত থাকবে আওয়ামী লীগ। এই একতরফা নির্বাচন নিয়েও কোনো প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে না বাংলাদেশের বিভিন্ন নেতৃত্বদের তরফে। কিন্তু এবার সে দেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে দিয়েছে।
উল্লেখ্য বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার পর বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলির মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারত চীন ও রাশিয়া তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম বলে মনে করা হচ্ছে ভারতের প্রতিক্রিয়া কে।
ভারতের তরফে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল স্পষ্ট বলেন, “বিনা প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ উদ্বেগজনক। একটি গণতন্ত্র হিসেবে, ভারত স্বাভাবিকভাবেই গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা খর্ব এবং রাজনৈতিক স্থান সংকুচিত হওয়ায় উদ্বিগ্ন। আমরা বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের দ্রুত আয়োজনের প্রতি জোরালো সমর্থন জানাই।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, আওয়ামী লীগের জন্য ভারত যতদূর করা সম্ভব, ততটাই করতে প্রস্তুত। এই প্রতিক্রিয়া অন্তত এমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যকলাপকে সমর্থন করে না ভারত, সেটাও একবার প্রমাণিত হল। অনেকে বলছেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখন ভারতের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে। ভারত এর আগে বহুবার স্পষ্ট করে দিয়েছে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত সরকার ছাড়া অস্থায়ী সরকারের সঙ্গে কোনও কাজ করবে না ভারত। ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদি থেকে শুরু করে অনেকের কথাতেই সেটা স্পষ্ট হয়েছে। এখানেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ভারত কেন শুধু আওয়ামী লীগের প্রতি এতটা পক্ষপাতিত্ব করছে?
আসলে শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে দেখা গিয়েছে সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ভারত হয়তো মনে করে, শেখ হাসিনার দল সরকারে থাকলে তবেই সুরক্ষিত থাকবে সীমান্তবর্তী এলাকা। আর সেই কারণেই হাসিনার দলের উপর এত ভরসা ভারতের। শেখ হাসিনা কতদিন ভারতের আশ্রয় থাকবেন, আওয়ামীলীগ কি নিষিদ্ধ হয়ে গেল, তাতে কি পদক্ষেপ করবে ভারত, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশের নির্বাচন করা যায় পুনব্যক্ত করেছে ভারত। এখন দেখার ভারত এই উদ্বেগের কথা বলে কোন চাপে ফেলল ইউনুস সরকারকে।
Discussion about this post