যুদ্ধের আবহে পরমাণ শক্তির উল্লেখ করে চমক রাশিয়ার। চার বছর ধরে চলছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। চলছে শান্তি বৈঠক তবে মেলেনি কোন সমাধান সূত্র কোন পক্ষই কোন শর্তে রাজি নয়। রাষ্ট্র সংঘ থেকে শুরু করে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রত্যেকেই ব্যর্থ হয়েছে এই যুদ্ধ রুখতে। কারণ বিনা শর্তে যুদ্ধ বিরতি দাবি করেন ট্রাম্প, দাবি মেনে জেলেনস্কি ৩০ দিনের যুদ্ধ বিরতি চাইলেও দাবি মানতে নারাজ ভ্লদিমির পুতিন।
উল্লেখ্য আগামী ৯ মে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ জয়ের উপলক্ষে তিন দিনের যুদ্ধ বিরতি চায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির পুতিন। এবার সেই শর্তে রাজি নয় জেলেনস্কি। তার দাবি এত স্বল্প সময়ে কখনোই দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা করা সম্ভব নয়, ফলে এই যুদ্ধ বিরতির সার্থকতা নেই বলেই মনে করছেন তিনি। রাশিয়া দাবি করেছে মানবতার খাতিরে ও রাশিয়ার এই চুক্তিতে রাজি হওয়া উচিৎ। কিন্তু রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনেস্কি বলেছেন, আগত ৯মে রেড স্কয়ারের প্যারেডে চীনের প্রেসিডেন্ট সেই জিংপিং সহ আরো যে সকল অতিথিরা থাকবেন তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব অন্য কারোর নয়। রাশিয়ার মাটিতে যা কিছু ঘটবে তার সবটা দেয় রাশিয়ার। এর পরীক্ষা খেতে জবাব দিয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও, তিনি বলেন মনে হয় না এভাবে আক্রমণ ও প্রতি আক্রমণ চলতে পারে। আমরা দ্রুত একটি সমাধান সূত্র বার করতে চাই। অত্যন্ত শক্তিশালী পরমাণু অস্ত্রের কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।
ইউক্রেন রাশিয়ার দীর্ঘ যুদ্ধের পরিস্থিতিতে সম্প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছে দুই দেশই। দীর্ঘমেয়াদি এই যুদ্ধে ৩০ দিনের যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল কিভ কিন্তু এই প্রস্তাবে সহমত পোষণ করেনি মস্কো। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দাবি, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে এখনও এমন অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন হয়নি। পশ্চিমা দেশগুলি আমাদের উসকানি উস্কানি দিয়ে আমাদের কিছু ভুল পদক্ষেপ নেওয়ার দিকে উদ্যত করেছিল। কিন্তু পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়নি। আশা করি ভবিষ্যতেও হবে না।”
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুতিন ইউক্রেনে হাজার হাজার রুশ সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দেন। এ ঘটনাকে ক্রেমলিন তার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলে অভিহিত করে। পরবর্তীতে কিভ থেকে রাশিয়ার সেনাদের বিতাড়িত করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কূটনৈতিক উপায়ে এই সংঘাতের অবসান ঘটানোর দাবী জানান।পুতিন সাম্প্রতিক কালে শান্তি মীমাংসার জন্য আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু বিজয় দিবস উপলক্ষে অন্তত কুড়িটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা সেখানে উপস্থিত থাকবে এমন কি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তরফ থেকে জানানো হচ্ছে ভারত পাকিস্তান উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ভারতের তরফ থেকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সেখানে উপস্থিত থাকবে। আর এই প্রসঙ্গে রাশিয়া প্রেসিডেন্ট পুতিন জানান যেহেতু তার প্রস্তাবিত যুদ্ধ বিরোধী শুরু হচ্ছে না সেহেতু বিজয় দিবস উপলক্ষে যারা সেখানে উপস্থিত থাকবে তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব রাশিয়ার নয়।
Discussion about this post