গত বছর পাঁচ অগাস্টে হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে একটি প্রশ্ন মাথা চাড়া দিচ্ছে, কবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তিনি বাংলাদেশে ফিরবেন। বিএনপির আশ্বাস তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে সকল মামলা রয়েছে তা থেকে মুক্তি পেলেই উপযুক্ত সময়ে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে সমস্ত মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছেন তারেক রহমান। এমনকি দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তরফ থেকেও জানানো হচ্ছে তারেক রহমানের দেশে ফিরতে আর কোনও বাধা নেই।
আইনি এবং রাজনৈতিক বাঁধা সকল বাধা পেরিয়ে এখন কবে বাংলাদেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তা স্পষ্ট করেনি দলটি। দলীয় সূত্র এবং তার ঘনিষ্ঠরা বিবিসি বাংলাকে জানাচ্ছে , তারেক রহমান দেশে ফিরেই আগামী নির্বাচনে দলকে নেতৃত্ব দেবেন। অর্থাৎ নির্বাচনের আগে সেই হিসেবে ২০২৫ সালের মধ্যেই তিনি বাংলাদেশের ফিরবেন, এমন ধারণাই দেওয়া হচ্ছে। কোনো সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি, তবে নির্বাচনের আগে তিনি দেশে আসবেন। এ ব্যাপারে তারেক রহমান নিজেই সিদ্ধান্ত নেবেন। তারেক রহমানের একজন উপদেষ্টা মাহদী আমিন বলছেন,”আমরা বিশ্বাস করি খুব দ্রুতই দেশে নির্বাচন আগামী বছর রমজানের আগে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত। অবশ্যই তার আগেই তারেক রহমান ফিরবেন বাংলাদেশে। যথোপযুক্ত আইনি এবং রাজনৈতিক পরিবেশ যখন সৃষ্টি হবে, যেটা বাংলাদেশের জন্য ও সকলের জন্য অনুকূল অবশ্যই নির্বাচনের আগে সেই সময়টাতে আমাদের মাঝে তিনি উপস্থিত হবেন বলেই আশা করা হচ্ছে।”
সম্প্রতি লন্ডনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের নির্বাচন ইস্যুতে বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠক থেকে বাংলাদেশে আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় উল্লেখ করে যৌথ ঘোষণা এসেছে। আর এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তারেক রহমানের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির। এরপর তিনিও তারেক রহমানের বাংলাদেশের ফেরার বিষয়ে জানান, আগে দেশে নির্বাচনের তিনক্ষণ ঘোষণা হোক তারপর উপযুক্ত সময় ও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান।
পাশাপাশি দেশে নিরাপত্তাহীনতা কেন এবং সমস্যা কোথায়, এ প্রশ্নের উত্তরে হুমায়ুন কবির বলেন, সিনিয়র পলিটিক্যাল লিডারের নিরাপত্তা ইস্যু সবসময় থাকবে। কিন্তু ওনার মতো লিডারের সিকিউরিটি কনসার্ন স্বাভাবিকভাবেই আছে। এটা এশিয়া মহাদেশের রাজনীতিতে নতুন নয়। দক্ষিণ এশিয়া ও গোটা বিশ্বের রাজনীতিতে এই ধরনের সিনিয়র পলিটিক্যাল লিডারের নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়তো অবশ্যম্ভাবী। ” উল্লেখ্য, বিএনপির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তারেক রহমানই এখন প্রধান নেতা। আগামী নির্বাচনে তার নেতৃত্বেই দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। নির্বাচন পরবর্তীতে জয়লাভ করলে এনং দল ক্ষমতায় এলে তারেক রহমানই হবেন বাংলাদেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী এমনটাই মনে করছে বিএনপি’র ঘনিষ্ঠ মহল।
Discussion about this post