২০০৮ সালে এক কঠিন রাজনৈতিক পরিস্থিতির সম্মুখিন হয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন তারেক রহমান। অর্থাৎ ১৭ বছর তিনি দেশের বাইরে অথচ এই ১৭ বছরে তিনি একবারের জন্যও দেশে ফিরেন নি। আওয়ামীলীগের শাষন আমলে তিনি কেন ফিরতে পারেননি তা হয়তো অনেকের জানা। কিন্তু এখন কেন তিনি দেশে ফিরতে পারছেন না? আসলে তিনি দেশের ফিরতে পারছেন না তার অনেকগুলি কারণ আছে, তিনি ভয় এবং বাধ্যবাধকতা থেকেই দেশে ফিরতে পারছেন না। এবার কারণগুলিতে আসার চেষ্টা করি। অনেকেই অনুমান করেন যে এই সময়ে তারেক রহমান দেশে ফিরলে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি ভঙ্গ হবে। যে চুক্তিটি হয়েছিল মহম্মদ ইউনূস,জামাত, তারেক রহমান এবং ওয়াকার উজ জামানের মধ্যে। এই চুক্তিতে কার কি ভুমিকা এবং কার কি প্রাপ্তি তা নিশ্চিত করা আছে। এখানে প্রধান ব্যক্তি মহম্ম ইউনূসের চাহিদা খুবই সামান্য, তিনি চান বহুদিন ধরে ক্ষমতা উপভোগ করতে এবং তার বিদেশী প্রভুদের খুশি করতে। কিন্তু তারেক রহমান দেশে ফিরলে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে যাবে। মহম্মদ ইউনূস তার ক্ষমতা হারাবেন। দেশের পুলিশ আমলা এমনকি সেনাবাহীনিও তার কথা আর শুনবে না। এখনই বুদ্ধিজীবীদের একাংশ বিএনপি মানে তারেক রহমানের দিকে ঝুঁকে গেছে। তারেক রহমান দেশে ফিরলে জনগনের যে অংশটি মহম্মদ ইউনূসকে সমর্থন করে যাচ্ছে তারাও ইউনূসের পক্ষ্য ত্যাগ করবেন। ফলে ইউনূস নিজের ক্ষমতা উপভোগ থেকেই শুধু বঞ্চিত হবেন তা নয়, তিনি তার বিদেশী প্রভুদের স্বার্থ রক্ষ্যা করতেও পারবেন না। তাই তারেক রহমান এখনই দেশে ফিরছেন না। মহম্মদ ইউনূস যখন শারীরিক ভাবে অক্ষম হয়ে পড়বেন, যখন তার মনে হবে আর সামলাতে পারছি না, তখনই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। এর পরের কারনটি হল সেনাবাহীনি এবং তারেক রহমানের মধ্যের ঘটনা। জানা যায় যে তারেক রহমান সেনাবাহীনির কাছে মুচলেখা দিয়েছিলেন যে তিনি আর কখনও রাজনীতিতে ফিরবেন না। তিনি নাকি জেনারেল এবং ক্যাপ্টেনদের কাছে আলাদা আলাদা মুচলেখা দিয়েছিলেন। ঐ মুচলেখায় কি ছিল তা স্পষ্ট করে কেউ না জানলেও, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন যে তারেক রহমান আর কখনও রাজনীতি করবেন না। এই শর্তে তিনি দেশ ছেড়ে নিজের প্র্রাণ রক্ষা করেছন। অনেকের মনেই প্রশ্ন আসবে যে একজন রাজনীতিবিদ কেন সেনাবাহীনির মুচলেখা মেনে চলবেন। এর উত্তরে অনেকে মনে করছেন যে ওয়ান ইলেভেনের সময় যে সমস্ত ক্যাপ্টেনরা তারেক রহমানের উপর অত্যাচার করেছিল, তাদের অনেকই এখন জেনারেল, তাই তারা যতদিন না অবসর নিচ্ছেন এবং সেফলি বিদেশে চলে যেতে পারছেন ততদিন তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারবেন না। আর একটি উত্তর হতে পারে যে, বাংলাদেশেও রাজনীতিতে সেনার হস্তক্ষেপ পাকিস্তানের মতই । অর্থাৎ বাংলাদেশের যে কোন সরকার সেনাবাহীনির অনুমোদন নিয়েই ক্ষমতায় এসেছে। আর তারেক রহমান এমন কোন সাহসী রাজনীতিবিদ নন, যিনি সেনাবাহীনিকে ভয় না করার মত সাহস রাখেন। এর পরের কারণটি আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কারণ বাংলাদেশের রাজনীতিতে দূর্ণীতি এতটাই ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে যে এখানে চুক্তি মুচলেখা ষড়যন্ত্র এসবের কোন গুরুত্বই রাখেনা । তাই এখন অনেকেই মনে করছেন যে ভোট হলে বিএনপি জিতবে এবং তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন। কিন্তু তারের রহমান লন্ডনে আছেন অথছ কোন বড় ধরনের প্রভাবশালী মি়ডিয়া তাকে নিয়ে আলোচনা করছে না। বা তার সাখ্যাতকার নিচ্ছে না। প্রশ্ন হল কেন? উত্তর হল তারেক রহমান এখনও আন্তর্জাতিক সমর্থন পাননি। এমনকি চিনও তারেক রহমানকে সমর্থন করে না। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি দেশের ক্ষমতায় ছিল এবং যে সময়টি ছিল বিতর্কিত। আর তখন থেকেই তারেক রহমান এমন কিছু কার্যকলাপ ঘটান, যাতে চীন, ব্রিটেন ভারত সহ বহু দেশই তারেক রহমানকে বিপদ জনক ব্যক্তি বলে বিবেচিত করে। তাই পশ্চিমা দেশগুলিও চাই না তারেক রহমান ক্ষমতায় আসুক। কিন্তু পশ্চিমাদের কথা মেনে কেন একজন রাজনীতি করবেন। আসলে তারেক রহমানের নিজেরই ইচ্ছা নেই দেশে ফেরার। কারণ তিনি চান ক্ষমতার নিশ্চয়তা। তিনি সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিতে ভয় পান। তিনি অনেকটা কাপুরুষের মত আচরন করে চলেছেন। ভয় পান আওয়ামীলীগকে।
জনগণের কাছে ধীরে ধীরে গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। দেশের অস্থির পরিস্থিতিতে সেনার উপর আর আস্থা রাখতে পারছেনা জনগন। বিগত দশ...
Read more
Discussion about this post