গ্রীষ্মের পারদ চড়ছে ক্রমশ। পয়লা বৈশাখের প্রথম থেকেই হাঁসফাঁস অবস্থা বঙ্গবাসীর। ইতিমধ্যেই ২৩টি জেলায় লাল সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া অফিস থেকে। বিশেষ করে ১৫টি জেলাকে লাল তাপপ্রবাহ বলয়ের আওতায় আনা হয়েছে। গত ২৬ শে এপ্রিল থেকে ভয়ঙ্কর তাপপ্রবাহে বঙ্গবাসী , সাথে বইছে গরম লু।
উষ্ণতার পারদ যত বাড়ছে ততই বিভিন্ন রোগের প্রকোপ বাড়ছে। বিশেষ করে জলবাহিত রোগ থেকে শুরু করে সর্দি, কাশি জ্বর বমি ইত্যাদির প্রকোপ বাড়ছে। সাথে বিভিন্ন মারাত্বক বিপদ ও ঘটতে পারে গ্রীষ্মের দাবদাহে। যেমন আপনার মোবাইল ফোন বাস্ট হতে পারে। অবাক হচ্ছেন ? তবে এই গরমে খুব বেশি টেম্পারেচারে মোবাইল ফোন রাখলেই ধোঁয়া বের হচ্ছে তা দিয়ে।
অন্যদিকে প্রচন্ড গরমে রোদে বেশিক্ষন দাঁড়ালেই সানস্ট্রোকের মতন ঘটনা ঘটছে। এছাড়াও প্রচুর ঘাম হওয়ার কারণে শরীরে তরল পদার্থ ও লবণের পরিমাণ কমে যায় এর ফলে ভারসাম্য পরিবর্তন ঘটে।
এইসব থেকে নিজেকে বাঁচাবেন কিভাবে ? শুধু শারীরিক ভাবে সুস্থ নয়, বিভিন্ন গুরুতর বিপদ থেকেও আমাদের নিজেদেরকেই রক্ষা পেতে হবে। কিভাবে বাঁচবেন রইলো সাবধানতা
গরমে যেমন আমাদের শরীরের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন তেমনি যানবাহন দেরও যত্নের প্রয়োজন। গাড়ি বাইক এবং অনান্য যানবাহন ঠান্ডা রাখতে নিয়মিত ইঞ্জিন অয়েল লেভেল চেক করুন। চার চাকা এবং বাইক ভালো তেল ব্যবহার করুন। তেল ভরার সময় ফুল ট্যাঙ্ক কখনো ভোরবেননা। বাইক বা স্কুটির এয়ার ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার করুন। বাইকের চাকায় কম হাওয়া ভরুন। পারলে নাইট্রোজেন হাওয়া ভরার চেষ্টা করুন। নাইট্রোজেন কিছুটা হলেও গাড়িকে ঠান্ডা রাখে। গরমে রোদের মধ্যে গাড়ি, বাইক , এবং চারচাকা পার্ক করবেন না। এবার আসা যাক মোবাইলের কথায় , মোবাইল ফোন চার্জ বসিয়ে ব্যবহার করবেন না। গরমে বাইরে থেকে এসে ফোনের কভার খুলে রাখার চেষ্টা করুন। কারণ কভার ফোনকে আরো বেশি গরম করে ব্লাস্ট এর সম্ভাবনা বাড়ায়। ফোনের ব্যাটারী ফুলে গেলে এখনই ব্যাটারী পাল্টে নিন..
• বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে রোদ এড়িয়ে চলুন
• বাইরে বের হলে যতটা সম্ভব ছাতা, টুপি বা কাপড় দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন
• বিশেষ করে সুতির তৈরি হালকা রঙের পোশাক পরা
• পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি পান করা
• সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং বাসি, খোলামেলা খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন
এইসব সাবধানতা অবলম্বন ,,,এবং এই গরমে নিজের এবং নিজের পরিবারের খেয়াল রাখুন।
দেশের নাগরিকদের উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের জন্য আয়ুষ্মান ভারত যোজনা বা প্রধানমন্ত্রী জন-আরোগ্য যোজনা চালু করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় আয়ুষ্মান কার্ডহোল্ডাররা পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য সুবিধা পাবেন। এই প্রকল্পটি কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা চালানো হয়, যা ভিন্ন ভিন্ন রাজ্য সরকার দ্বারা বাস্তবায়িত হয়। এই স্কিমের সুবিধা নিতে হলে আয়ুষ্মান কার্ড থাকা দরকার। আপনি যদি এখনো এই কার্ডের উপভোক্তা না হয়ে থাকেন তবে এখনই অনলাইনে আবেদন করতে পারেন।
এবার আয়ুষ্মান কার্ড চালু হলো পশ্চিমবঙ্গে। ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবে পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ জনগন।
যেসব রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত যোজনা চালু রয়েছে সেইসব রাজ্যের ভূমিহীন নাগরিক, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, গ্রামীণ মানুষ, তফসিলি জাতি, উপজাতি, কাচা বাড়িতে বসবাসকারী, দিনমজুর, আশ্রয়হীন, উপজাতি এবং ট্রান্সজেন্ডার লোকেরা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন ।
এবং পশ্চিম বঙ্গের আয়ুষ্মান ভারত যোজনার আওতায় অন্তর্ভুক্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং হাসপাতাল; গুলিতে এর পরিষেবা পাবে।
Discussion about this post