তীব্র দাবদাহে পুড়ছে বাংলা। গরমে হাঁসফাঁস করছে বঙ্গবাসী। গরম থেকে বাঁচতে যে যার মতো করে উপায় খুঁজছেন। কেউ খাচ্ছেন ঠান্ডা পানীয়, কেউ আবার নানাবিধ ফল। আর এই তীব্র দনজ্বালায় কেমন আছে চিড়িয়াখার বাসিন্দারা? চলুন আজ ঘুরে দেখা যাক আলিপুর চিড়িয়াখানা।
দুপুরের সময়টাতে লোকজন কমই থাকে। তাই ‘ওদের’ চাপও বেশ কম। এনক্লোজারে এয়ার কুলার বসে যাওয়ায় গরম খুব একটা নেই। স্বস্তিতে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই দেখা গেল তাদের। কেউ খাচ্ছে তরমুজ, আবার কেউ শসা। আসলে তীব্র গরমে চিড়িয়াখানায় পশু, পাখীদের কোনওভাবে ক্ষতি না হয়, তাই যথেষ্ট তৎপর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। পশুপাখীদের পানীয় জলের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে ওআরএস। অন্যদিকে কৃত্রিম জলাশয়ে নিজেদের শরীর ডুবিয়ে ঠান্ডা রাখছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ও সিংহরা। জল থেকে উঠার পরই দেওয়া হচ্ছে ঠান্ডা পানীয় জল।
শুধুমাত্র এবছরই নয়, গরম পড়তেই চিড়িয়াখানার তরফে পশুপাখীদের ডায়েটে আনা হয়েছে বদল। তবে অন্যবারের থেকে এবারের তাপপ্রবাহ বেশি। তাই যত্নও নেওয়া হচ্ছে বেশি। চিড়িয়াখানর তরফে জানা গিয়েছে, প্রত্যেকটি পশুপাখী তো এক নয়, তাই তাদের যত্নও নেওয়া হচ্ছে আলাদা আলাদাভাবে। তবে পানীয় জলে প্রত্যেকেই ওআরএস খাওয়ানো হচ্ছে। তৃণভোজী ও মাংসাশী—দুরকম পশুদের জন্য গ্রীষ্মের স্পেশাল ডায়েট চার্ট করা হয়েছে। সেই মতোই তাদের খাবার দেওয়া হচ্ছে। এই গরমে রসালো ফল দেওয়া হচ্ছে। ভালুক ও ক্যাঙারু এবং আরও অন্য কিছু জন্তুর জন্য খাঁচায় এয়ার কুলার বসানো হয়েছে। চিড়িয়াখানার শিশ্পাঞ্জিকে দেওয়া হচ্ছে দই। এছাড়াও প্রতিটি এনক্লোজারই সিসিটিভির নজরদারিতে রয়েছে। কোনও জন্তুর আচারণে আস্ভাবিক ঠেকলে তৎক্ষনাৎ পদক্ষেপ করা হবে।
Discussion about this post