গোটা দেশজুড়ে চলছে ভোট পর্ব। চলছে মন্তব্য, পাল্টা মন্তব্যের লড়াই। ভাষা প্রয়োগে শালীনতা হারাচ্ছেন রাজনীতিবিদরা। ভাষা জ্ঞান, সৌজন্যবোধ বিসর্জন দিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণে নেমে পড়ছেন সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাই। রাজনীতির এই কদর্যতার প্রতিবাদেই সরব হয়েছেন সুস্থ চেতনা সম্পন্ন কিছু মানুষ। রাজনীতিবিদদের অশালীন ভাষা প্রয়োগের প্রতিবাদে শহরে অনুষ্ঠিত হল এক কর্মসূচী। শব্দ ব্রহ্ম । শব্দের অপপ্রয়োগ না করে পলিটিক্যাল পালাগানের মধ্য দিয়েও যে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল বা প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সমালোচনা করা যায়, জনমানুষের সামনে তা তুলে ধরলেন সাহিত্যিক ও সমাজসচেতক ঝর্ণা ভট্টাচার্য্য।
ঝর্ণা ভট্টাচার্য্য বলেন, ভাষা এবং রাজনীতি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে। রাজনীতিবিদরা যদি ভাষা ঠিক রাখেন তাহলে সমাজটাই একটু অন্যভাবে গড়ে ওঠে। তাই ‘সরস্বতী ভান্ডার’ চেষ্টা করে চলেছে ভাষার মর্যাদাকে সমাজে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দিতে। সমাজকে অন্যভাবে গড়ার অভিপ্রায় নিয়ে এগিয়ে চলেছে এই সংস্থা। ‘সরস্বতী ভান্ডার’ এর মূল উদ্দেশ্য ভাষাসন্ত্রাসের আত্মশুদ্ধি ঘটানো, যাতে আগামী প্রজন্ম এক মার্জিত, পরিশীলিত শব্দ চয়নের মাধ্যমে রাজনীতির শুদ্ধিকরণ ঘটাতে পারে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে ‘সরস্বতী ভান্ডার’ তার প্রথম পথচলা শুরু করেছিল মাত্র কিছুদিন আগেই। এরপর কলকাতা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গালাগালির বদলে পালাগানের মাধ্যমে যে রাজনৈতিক তর্জা চলতে পারে, তার এক চমৎকার উদাহরণ সামনে রাখে।
‘সরস্বতী ভান্ডার’ রাজভবনের সামনেও প্রতিবাদে মুখর। সম্প্রতি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এই নীরব প্রতিবাদে শব্দ রাক্ষস ও অপসংস্কৃতি রাক্ষসের গলায় ঘুঁটের মালা পরিয়ে সমাজকে আত্মিক উত্তরণের বার্তা দিল এই সংস্থা। সাহিত্যিক সমাজসচেতক ঝর্ণা ভট্টাচার্য্যর বক্তব্য, লক্ষীর ভান্ডার যেমন অর্থনৈতিক বল দেয়, সরস্বতী ভান্ডার তেমনই যেন সুস্থ ভাষা, সুস্থ সংস্কৃতির পাঠ দিতে চায় সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে।
Discussion about this post