সব বুথে দিতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোটার ও ভোট কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রতি বুথে ওয়েব ক্যাম নজরদারি করতে হবে। অস্থায়ী কর্মীদের ভোটের কাজে যুক্ত করা যাবে না। লোকসভা ভোটের মুখে এমনই কয়েক দফা দাবিকে সামনে রেখে ফের ময়দানে সরকারি কর্মীদের ডিএ আন্দোলন মঞ্চ। পাশাপাশি, আমজনতার অভিযোগ জানাতে চালু করল বিকল্প হেল্পলাইন নম্বর ও ই-মেল।
এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানালেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ। মাস পড়লেই লোকসভার প্রথম দফা নির্বাচন। আর তার আগে ফের ভোট কর্মীদের ও ভোটাদের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। মূলত, তিনটি দাবিকে সামনে রেখেই তাঁরা নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছেন আগামী সপ্তাহে। অভিযোগ জানিয়ে সুরাহা না-পেলে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানানো হয়েছে যৌথ মঞ্চের তরফে।
এদিন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, “পঞ্চায়েত-সহ অতীতে একাধিক ভোটে অভিজ্ঞতা থেকে আমরা নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের কাছে একাধিক দাবি করেছিলাম ৷ ভোট কর্মীদের ও ভোটারদের নিরাপত্তার স্বার্থে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতেও ওয়েব ক্যাম নজরদারি করতে। তবে এখন যারা পরিদর্শক এসেছেন তাঁরা সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিশ্চিত করতে পারছেন না। ফলে আমরা সেটা না-করলে ভোট করাতে যাব না।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব ভোট কর্মীদের নিরাপত্তা দেওয়া ৷ সেটা না-পারলে কর্মীরা ভোটে যাবেন না। পাশাপাশি অস্থায়ী কর্মীদের কাজে লাগবে না-বলেও বিভিন্ন ভোটের কাজে লাগানো হচ্ছে ৷ এটা করা যাবে না। আগে তাদের স্থায়ীকরণ হোক তারপর তাদের উপর দায়দায়িত্ব দেবেন। এই দাবি গুলো নিয়ে আগামী সপ্তাহে কমিশনে যাচ্ছি। সুরাহা না-হলে পরের দফা থেকে ভোট প্রক্রিয়া প্রশিক্ষণই শুরু হবে বিক্ষোভ ও আদালতের দ্বারস্থ হব।”
এছাড়াও তিনি দাবি করেন, সিভিজিল অ্যাপ (cVIGIL) মারফত অভিযোগ করলে বলা ছিল অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন থাকবে। কিন্তু অভিযোগককারীকে চিহ্নিত করে তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই বিকল্প হেল্প ডেস্ক দু’টো ফোন নম্বর চালু করা হয়েছে ও একটি ই-মেলও দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে কমিশনকে জানিয়েছি। তারা বিষয়টি মান্যতা দিয়েছেন।
Discussion about this post