দিনের পর দিন ক্রমেই বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। ভ্যাবসা গরমে নাজেহাল দক্ষিণবঙ্গবাসী। ঘর থেকে সামান্য বাইরে বের হলেই সূর্যের প্রখর তেজের ঝাঁঝে ছ্যাঁকা লাগছে। শরীরকে ঠান্ডা রাখতে ঘরে থাকলে কখনও এসি, তো কখনও আবার কুলার বা পাখার নিচে বসে থাকছি আমরা। আর বাইরে বের হলে, চাঁদি ফাঁটা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। সেই সময় শরীরকে ঠান্ডা রাখতে একমাত্র ভরসা ঠান্ডা জলের। তাই পথ চলতি মানুষ সেই সময় দোকান থেকে ঠান্ডা জলের বোতল কিনে কখনও পান করছেন তো কখনও আবার বোতলের জল দিয়ে মুখ ধুয়ে শরীর ঠান্ডা রাখছেন। ফলে নিমেশের মধ্যেই আপনার শরীরে বাসা বাঁধছে জ্বর, সর্দি কাশির মতো ভাইরাস। শুধু আপনিই নয়, এই ভাইরাসের কোপে পড়ছে আপনার পরিবারের সদস্যরাও। তবে এরই মধ্যে বঙ্গে আগামী ১ লা মে পর্যন্ত বৃষ্টি বা কালবৈশাখীরও কোনও পূর্বাভাস নেই বলে জানালো আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বড়দের পাশাপাশি এই গরমে নাজেহাল অবস্থা শিশুদেরও। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হিট ফিভার এবং হিট ডায়ারিয়া। এই অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে সদ্যজাত থেকে স্কুল পড়ুয়া সকলেই। কিন্তু কি করে বুঝবেন আপনার সন্তান হিট স্ট্রোক কিংবা হিট ফিভারে আক্রান্ত। জেনে নিন।।
ঘন ঘন পেটের সমস্যা এবং মাঝে মধ্যেই জ্বর আসছে, সাবধান। এই উপসর্গ গুলো হলেই অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তবে বেশ কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে এই অসুখ থেকে শিশুদের দুরে রাখা সম্ভব। এই প্রতবেদনে সেই তথ্যই।।
বাইরে বের হলে গরমে প্রচন্ড ঘাম হয়। ফলে ঘামের মধ্যে দিয়ে শরীরের বেশিরভাগ নুন দেহের বাইরে বেরিয়ে আসে। যার ফলে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই শিশুকে রোদ থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখুন।
প্রয়োজনে রোদে বের হলে অবশ্যেই শিশুকে ORS কিংবা নুন চিনির জল খাওয়ান। এতে শিশুর শরীর ঠান্ডা রাখে।
শরীর ঠান্ডা রাখতে বারবার স্নান করুন। ভিজে গামছা কিংবা তোয়ালে দিয়ে গা মুছুন। এতে শরীর ঠান্ডা রাখে। তবে ভুলেও ভিজে কাপড় গায়ে জড়িয়ে রাখবেন না, এতে হিতে বিপরীত হতে পারে আপনার।
ফল খাওয়ার আগে অবশ্যই বেশ কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখুন। শিশুকে সেই ফল থেকে দিন।
জ্বর আসলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অবশ্যই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ান। শুধু ওষুধই নয়, সেই সঙ্গে শিশুকে পর্যাপ্ত খাবারও খাওয়ান। জ্বর হলে শিশুর শরীর একটুতেই দুর্বল হয়ে যায়, তাই পর্যাপ্ত খাবার খাওয়ালে শিশুর শরীরে পুষ্টি বৃদ্ধি হয়।
সেই সঙ্গে প্রোটিনযুক্ত খাবারের মধ্যে অতিরিক্ত হারে প্রোটিন যুক্ত খাবার খাবেন না। কারণ, শরীরে প্রোটিনের মাত্রার সঙ্গে জলের মাত্রাও বেড়ে যায়। যতই জল খাওয়ান না কেন, শরীরে জলের চাহিদা মেটে না। তাই শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখতে অবশ্যই হালকা খাবার খাওয়ান আপনার শিশুকে।
Discussion about this post