সদ্যই কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছে বসিরহাটের রেখা পাত্র-সহ ছয়জন বিজেপি প্রার্থী পাচ্ছেন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা। এই খবর আসার কিছুক্ষণ পরেই নিজের এলাকায় বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। মঙ্গলবার সকালে তিনি খড়িডাঙা এলাকায় আহত এক বিজেপি কর্মীকে দেখতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, ওই গ্রামে ঢোকার মুখেই রাস্তায় গাছে গুঁড়ি ফেলে পথ আটকানো হয় রেখার। এরপরই শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। সেই সময় রেখার সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। তাঁরাই কোনওমতে রেখা-সহ বিজেপি নেত্রীদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, সোমবারই বসিরহাট ২ ব্লকের খড়িডাঙা গ্রামে রেখা পাত্রের দেওয়াল লিখনে কালি দেওয়ার ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিলেন বিজেপি এবং তৃণমূল সমর্থকরা। অভিযোগ, সংঘর্ষে আহত হন কালিদাস বাছার নামে এক বিজেপি কর্মী। তাঁকেই মঙ্গলবার দেখতে গিয়েছিলেন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী। এরপর ফের নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়। রেখাকে আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় মহিলারা। এমনকি হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। রেখাকেও দেখা যায় আঙুল উঁচিয়ে তর্ক করতে। বিজেপি নেত্রী অর্চনার দাবি, তাঁকে মারধোর করা হয়েছে। রেখার অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজনই এই বিক্ষোভে ছিলেন। বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এই ঘটনায় এদিন রেখার প্রচার ভণ্ডুল হয়ে যায় বলেই দাবি বিজেপির। উল্লেখ্য, সন্দেশখালিকাণ্ডের পর রীতিমতো প্রতিবাদের মুখ হয়ে উঠেছিলেন সাধারণ গৃহবধূ রেখা পাত্র। তাঁর দায়ের করা অভিযোগ এবং গোপন জবানবন্দীর পরই গ্রেফতার হন শাহাজাহান ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দাররা। এহেন রেখা পাত্রকেই এবার বসিরহাটে টিকিট দিয়ে চমক দিয়েছে বিজেপি। সন্দেশখালি-সহ বসিরহাটের বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় দাপিয়ে প্রচার করছেন তিনি। তবে মঙ্গলবার কাটল তাল।
Discussion about this post