কাশ্মীরে গত কয়েক বছর ধরেই জঙ্গিদমনে কড়া অবস্থান নিচ্ছে সেনাবাহিনী। পরপর অভিযান চালিয়ে একশোর বেশি জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। সোমবার রাত থেকে চলা আরেকটি অভিযানে খতম করা হল তিন জঙ্গিকে। এদের মধ্যে একজন লস্কর-ই-তৈবার কমান্ডার তথা এনআইএ-র মোস্ট ওয়ান্টে়ড জঙ্গি তালিকায় ছিল।
ভারতীয় সেনার তরফে এক বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, ৭ মে রাত থেকে কাশ্মীর উপত্যকার কুলগাম জেলার রেডওয়ানি পায়েন এলাকায় এক বড়সড় জঙ্গি অভিযান শুরু হয়েছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়েই সেনাবাহনী এবং কাশ্মীর পুশের যৌথবাহিনী অভিযান চালায়। লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের খোঁজেই চিরুনী তল্লাশি চালাতে থাকেন জওয়ানরা। তখনই শুরু হয় গুলির লড়াই। টানা ৪০ ঘণ্টা চলে গুলির লড়াই। এরপর বাহিনী জানিয়ে দেয় এই লড়াইয়ে নিকেষ করা গিয়েছে লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ কমান্ডার রসিদ দার। যে এনআইএ-র মোস্ট ওয়ান্টে়ড জঙ্গি তালিকায় ছিল।
তবে রসিদ দারের এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোমিন মীর পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। তাঁকে খুঁজতে এখনও তল্লাশি অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। বুধবার সকালে তাঁর খোঁজ পেয়ে একটি বাড়ি ঘিরে ফেলে বাহিনী। এরপর ফের শুরু হয় গুলির লড়াই। তাতেই মারা যায় মোমিন মীর। এখনও পর্যন্ত তিন জঙ্গির মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। তবে নিরাপত্তাবাহিনীর কেউ হতাহত হয়নি। উল্লেখ্য, সারা দেশের সঙ্গে লোকসভা নির্বাচন চলছে জম্মু ও কাশ্মীরেও। সেই নির্বাচন বানচাল করতে সব রকমের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি। এরমধ্যে গত ৪ মে পুঞ্চে বায়ুসেনার এক কনভয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। তাতে একজন সেনা শহীদ হন, আহত হন আরও চারজন। এরই যোগ্য জবাব দিল সেনা ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথবাহিনী।
জঙ্গি হামলার স্বীকারোক্তি পাকিস্তানের! ভারতের ভূস্বর্গ কাশ্মীরের, পহেলগাঁও এর বৈসরণ ভ্যালি সুসজ্জিত উপত্যকা এক ঝটকায় যেন মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হলো।...
Read more
Discussion about this post