আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে এবার লড়াই ত্রিমুখী। ফের একবার বিহারীবাবু শত্রুঘ্ন সিনহাকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। অন্যদিকে, পোর খাওয়া সিপিএম নেত্রীর ওপর আস্থা রেখেছে বাম-কংগ্রেস। বিজেপির বাজি বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিদায়ী সাংসদ এসএস আলুওয়ালিয়া। বৃহস্পতিবার আলুওয়ালিয়ার সমর্থনে হুড খোলা গাড়িতে বর্ণাঢ্য প্রচার করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই নির্বাচনী প্রচারটি বার্নপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে বন্ধু মহল মাঠ, সুভাষপল্লী স্কুল হয়ে ফের বার্নপুর বাসস্ট্যান্ডে এসে শেষ হয়। সঙ্গে ছিলেন জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় সহ বিজেপি এবং কর্মী সমর্থকরা।
এদিন প্রচার শেষে সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিও নিয়ে শাসকদলকে কড়া নিশানা করেন সুকান্ত।তিনি বলেন, ‘সন্দেশখালির পাপ ঢাকতে অনেক কিছু করবে I
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের ভিডিও কারচুপি করে ভাইরাল করে দেওয়া হচ্ছে। এই ভুয়ো ভিডিও দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল’। উল্লেখ্য, ২ মার্চ বিজেপির প্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল ৷ সেখানে আসানসোল থেকে ভোজপুরী গায়ক পবন সিংকে প্রার্থী করে ভারতীয় জনতা পার্টি ৷ তবে পরদিনই সোশাল মিডিয়ায় পবন জানান, তিনি লোকসভা নির্বাচনে লড়বেন না৷ আসানসোলে প্রার্থী হিসেবে বঙ্গ বিজেপির আরও বেশ কিছু নাম উঠে এসেছিল৷ তবে শেষমেশ দুর্গাপুর-বর্ধমান কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ আলুওয়ালিয়ার উপরেই ভরসা রাখল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব ৷ এদিকে এস.এস.আলুওয়ালিয়ার কেন্দ্র দুর্গাপুর-বর্ধমানে প্রার্থী হয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ ৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আসানসোলে মূলত বাঙালি, অবাঙালির বাস। সেখানে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী শত্রুঘ্ন সিনহার উপরেই আস্থা রেখেছে শাসক শিবির। তাঁর বিরুদ্ধে প্রথমে তারকা ইমেজকে কাজে লাগিয়ে ভোটে জয়ের চেষ্টা করেছিল বিজেপি। সে কারণে ভোজপুরী তারকা পবন সিংকে প্রার্থী করা হয়েছিল। তবে তাঁর গানে বাংলার মহিলাদের অপমান করার অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়। তার জেরে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে বিজেপি। সূত্রের খবর, এর পর ওই লোকসভা আসনে প্রার্থী খুঁজে পেতে বেশ খানিকটা ঝক্কি পোহাতে হয় পদ্মশিবিরকে।
Discussion about this post