স্বল্প দূরত্ব হোক বা লম্বা দূরত্ব, অধিকাংশ ভারতীয়র প্রথম পছন্দ ট্রেন। ভারতের রেল নেটওয়ার্ক বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম। ফলে প্রতিদিন কয়েক হাজার লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেন যাতায়াত করে দেশের কোনায় কোনায়। আপনারা সকলেই জানেন, দূরপাল্লার ট্রেনে ভ্রমণ করতে হলে অনেকদিন আগেই টিকিট রিজার্ভ করতে হয়। নাহলে পাওয়া যায় না টিকিট। আবার করোও কপালে জোটে আরএসি সিট, অর্থাৎ একটি বার্থে দুজন ভাগাভাগি করে বসে যেতে হয়। কিন্তু জানেন কি ভারতীয় রেল টিকিট রিজার্ভশণের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি সুযোগ সুবিধা দেয়। টিকিট কাটার সময় একটি মাত্র অপশনে টিক দিয়ে দিলেই আপনি পেয়ে যেতে পারেন লটারি।
যাত্রীদের সুবিধার্থে ভারতীয় রেল অনেক আগেই চালু করেছে ‘অটো আপগ্রেডেশন সিস্টেম’। ধরুন আপনি সাধারণ স্লিপার শ্রেনিতে টিকিট কেটেছেন। কিন্তু ট্রেনে ওঠার আগে আপনি দেখলেন আপনার বার্থ এসি কামরায় পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছে। বা এসি থ্রি টায়ার বা টু টায়ারে টিকিট কেটে এসি ফার্স্ট ক্লাসে পৌঁছে গেলেন। আর এর জন্য আপনাকে বাড়তি একটি টাকাও দিতে হচ্ছে না। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। এটা সম্ভব, তবে তার জন্য দূরপাল্লার ট্রেনে টিকিট কাটার আগে আপনাকে করতে হবে একটিমাত্র কাজ। ট্রেনের টিকিট কাটার সময় কাউন্টারের রিকুইজিশন ফর্ম বা অনলাইনে ‘অটো আপগ্রেডেশন’ অপশনে টিক মেরে দিতে হবে। তাহলে আপনার সামনে সুযোগ এসে যাবে উচ্চ শ্রেনিতে টিকিট আপগ্রেড হওয়ার। তবে এর জন্য এসি কামরাগুলিতে আসন খালি থাকতে হবে, নাহলে এই সুযোগ কেউ পাবেন না।
রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, বর্তমানে দূরপাল্লার ট্রেনে সাধারণ কামরার পাশাপাশি সাধারণ স্লিপার শ্রেণি, এসি থ্রি টায়ার, টু টায়ার এবং এসি ফার্স্ট ক্লাস কামরা থাকে। আর সল্প দুরত্বের ট্রেনগুলিতে সাধারণ চেয়ার কার ও এসি এক্সিকিউটিভ চেয়ার কার থাকে। তবে স্লিপার ক্লাস ও এসি থ্রি টায়ারের টিকিটের চাহিদাই সবচেয়ে বেশি। কারণ এই শ্রেণির ভাড়া সাধারণের নাগালের মধ্যে। তাই তুলনামূলক উচ্চ শ্রেণিগুলিতে অনেক সময় আসন ফাঁকা থাকে। তাই আইআরসিটিসি নিয়ম করেছে উচ্চ শ্রেণিতে আসন ফাঁকা থাকলে ওই জায়গায় স্লিপার ও এসি থ্রি টায়ারের যাত্রীদের আপগ্রেড করা হবে। এবং স্লিপারের ওয়েটিং লিস্টে থাকা যাত্রীদের টিকিট কনফার্ম করা হবে। এতে রেলের লোকসান অনেকটাই কমেছে।
Discussion about this post