বাংলাদেশের খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে সবুজ সাথীর সাইকেল। ৭ থেকে ৮ হাজারে সাইকেল বিক্রি হচ্ছে দেদার। সম্প্রতি এমনই চাঞ্চল্যকর ছবি উঠে এসেছে।
পড়ুয়াদের স্বার্থে রাজ্যে সবুজ সাথী প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সময়ের মধ্যে পড়ুয়ারা যাতে স্কুলে পৌঁছে যেতে পারে তার জন্য এমন জনদরদী উদ্যোগ নিয়েছিল রাজ্য। এই প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে ১ কোটি ১০ লাখের বেশি সাইকেল বিলি করা হয়েছে রাজ্যের স্কুলগুলিতে। প্রতিবছর পড়ুয়াদের স্বার্থে অনেকগুলি করে টাকা খরচ করে সাইকেল বিলি করে রাজ্য। এখন প্রশ্ন আদতে সাইকেল গুলি কি সত্যি পড়ুয়াদের কাজে লাগছে?
এই প্রশ্নের সত্যানুসন্ধান করতে হলে পৌঁছে যেতে হবে বাংলাদেশে। রাজ্যের নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলার বেশ কিছু অংশ বাংলাদেশ লাগোয়া। কোথাও কাটাতারের ব্যারা রয়েছে কোথাও বা নেই। আর সেই সুযোগকেই কাজে লাগাচ্ছে চোরা কারবারিরা। মুর্শিদাবাদ জেলা লাগোয়া ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রানিহাটি বাজার, চাঁপাই-নবাবগঞ্জ, বাথানপাড়া, নদিয়া জেলা লাগোয়া চারঘাট, রাজশাহি, খুলনা, পাবনা, গাংনি, চুয়াডাঙা, কুষ্টিয়া মেহেরপুর, জীবননগরের মতো গ্রামীণ হাটগুলিতে দেদার বিক্রি হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্পের সাইকেল। যেমন ব্যবহার তেমন তার দাম। অর্থাৎ যেগুলির ব্যবহার একটু বেশি সেগুলির দাম কিছুটা কম। কোনটা আবার বেশ নতুন। এরফলে দামও বেশি। সবমিলিয়ে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকার মধ্যে দিব্যি মিলে যাচ্ছে প্রায় নতুন একটি সাইকেল।
স্কুল প্রদত্ত সাইকেল গুলির গুণগত মান নিয়ে রাজ্যে বিরোধীদের অনেকেই প্রশ্ন তুলে থাকেন। তবে বাংলাদেশের বাজারে এর চাহিদা দেখলে সত্যিই চমকাতে হবে। শেখ হাসিনার দেশে নতুন একটি সাইকেল কিনতে ১৪ থেকে ১৫ হাজার গ্যাটের কড়ি খসাতে হয়। আর সেখানে প্রায় হাফ দামেই মিলে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সবুজসাথী প্রকল্পের সাইকেল
সেদেশের হাটে বাজারে সবুজসাথী সাইকেলের এখন রমরমা বাজার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জমে উঠেছে ব্যবসায়ীদের কারবার। দিনের পর দিন চোরা পথে রাজ্য সরকারের নজর এড়িয়ে একশ্রেণির মানুষ সাইকেল পাচার করে রুজি রোজগার করছেন। কোন হুঁশই নেই প্রশাসনের। কেবল সাইকেল বিলি করেই তারা দায় সারছে। আদতে দেখা যাচ্ছে সেই সাইকেল পড়ুয়াদের কোন কাজেই লাগছে না। উল্টে ফুলে ফেঁপে উঠছে একশ্রেণির ব্যবসায়ী। জনগণের করের টাকা এইভাবে কি নয়ছয় করা যায়? প্রশ্ন উঠলেই হয়তো বিএসএফের উপর দায় চাপাবে রাজ্য। কিন্তু তাতে কি সত্যিই দায় এড়ানো যাবে?
২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকে বিগত এগারো বছর ধরে তিনিই ভারতের সর্বেসর্বা। এই সময়কালে তিনি ভারতকে...
Read more
Discussion about this post