বয়স মাত্র ১৬ বছর। আর বয়েসেই মুম্বইয়ের দামাল কন্যা পা রাখল মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায়। মুম্বইয়ের বিখ্যাত নেভি স্কুলের ছাত্রী কাম্য কার্তিকেয়ন, তাঁর বাবা নেভির কমোডোর এস কার্তিকেয়নের সঙ্গে এভারেস্ট চূড়ায় পা রাখে সোমবার দুপুরে। ১৬ বছরের কিশোরী টাটা স্টিল ফাউন্ডেশনের সদস্যা। এত অল্প বয়সে এর আগে কোনও ভারতীয় এভারেস্ট শীর্ষে পৌঁছতে পারেনি। ফলে কাম্য গড়ল এক অনন্য রেকর্ড। মেয়ের এই কৃতিত্বে গর্বিত নৌসেনার আধিকারিক এস কার্তিকেয়ন।
জানা যাচ্ছে, গত ৬ এপ্রিল নেপালের কাটমান্ডু থেকে অভিযান শুরু করেছিল বাবা-মেয়ে। প্রায় দেড় মাসের অভিযানের শেষে গত সোমবার দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে এভারেস্টের চূড়ায় পা রাখেন কাম্য। পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গে ভারতের তেরঙ্গা পতাকা নিয়ে সহাস্য ছবি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করেছে সে। সঙ্গে ছিল টাটা স্টিলের পতাকাও। এই অভিযানে কাম্যর বাবা সঙ্গে থাকলেও এভারেস্ট চূড়ায় একাই পৌঁছয় সে। তাঁর বাবা কাম্যর ঠিক পড়ে দুপুর ২টো ১৫ মিনিট নাগাদ এভারেস্ট চূড়ায় পা রাখেন। উল্লেখ্য, ১৯ মে তাঁরা এভারেস্ট বেস ক্যাম্প থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন।
এভারেস্টের আগে কাম্য আরও বেশ কয়েকটি উচ্চতর শৃঙ্গ জয় করেছে। মাত্র ৯ বছর বয়স থেকে পাহাড় চড়া শুরু করেছিল কাম্য। এরপর থেকে সেটা নেশায় রূপান্তরিত হয়। কাম্যের বাবা তাঁর মেয়েকে উৎসাহিত করেন। এভারেস্ট জয় করার আগে এখনও পর্যন্ত আফ্রিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো, ইউরোপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এলব্রাস এবং অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট কেসিয়াসকো জয় করেছে কাম্য কার্তিকেয়ন। উল্লেখ্য, ১৮ বছরের কম বয়সীদের জন্য ভারতের সবচেয়ে বড় নাগরিক সম্মান প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় বাল শক্তি সম্মান পেয়েছে কাম্য কার্তিকেয়ন। ফলে এভারেস্ট জয় করে এই সাহসী কিশোরী সেই সম্মানের মর্যাদা রক্ষা করলেন সে কথা বলাই বাহুল্য।
Discussion about this post