পঞ্জাবের কাপুরথালা রেল কোচ ফ্যাক্টরিতে ভারতের প্রথম বন্দে মেট্রো ট্রেন তৈরি হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি সেই অত্যাধুনিক ট্রেনটির একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। দেখতে অনেকটা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতো হলেও এই ট্রেন ভিতর থেকে অনেকটাই আলাদা। আসুন জেনে নেওয়া যাক বন্দে মেট্রো ট্রেনের সব ফিচার্সগুলি সম্পর্কে।
২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ইঞ্জিনবিহীন সেমি হাইস্পিড বন্দে ভারত ট্রেন চালু করে বড় চমক দিয়েছিলেন। অনেকটা ইএমইউ বা মেমু ট্রেনের মতোই বন্দে ভারতে নেই কোনও ইঞ্জিন। ফলে ট্রেনটি অতি দ্রুত গতিবেগ বাড়াতে পারে, আবার কমাতেও পারে। এবার বন্দে ভারত অতীত, সামনে এল প্রথম বন্দে মেট্রো ট্রেনের ফার্স্টলুক। এবার জেনে নিন বন্দে মেট্রো কি এবং কোথায় চলবে। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতীয় রেল ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসছে বলে আগে থেকেই দাবি করে আসছে বিজেপি নেতারা। বন্দে ভারত, নমো ভারতের পর এবার ট্র্যাকে নামছে বন্দে মেট্রো ট্রেন। নামে মেট্রো থাকলেও এই ট্রেন কিন্তু মেট্রোরেল নয়। রীতিমতো ব্রডগেজ লাইনে চলবে বন্দে মেট্রো। রেল আগেই জানিয়েছিল, মোটামুটি ২৫০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে দুটি বড় শহরকে জুড়বে এই বন্দে মেট্রো ট্রেন অর্থাৎ ইন্টারসিটি ট্রেন।
পঞ্জাবের কাপুরথালা রেল কোচ ফ্যাক্টরিতে ভারতের প্রথম বন্দে মেট্রো ট্রেন তৈরি হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, ট্রেনটি তাঁর প্রথম গন্তব্যের দিকে রওনাও হয়েছে ট্রায়াল রানের জন্য। রেল সূত্রে খবর, আগামী জুলাই মাস ধরে চলবে ট্রায়াল রান। এর জন্য রেলের তরফে যাবতীয় প্রস্তুতিও সাড়া বলে জানা গিয়েছে। ট্রায়াল রানের পর শুরু হবে বাণিজ্যিক যাত্রী পরিষেবা। তবে ঠিক কবে থেকে শুরু হবে বন্দে মেট্রোর বাণিজ্যিক পরিষেবা সেটা এখনও ঠিক হয়নি। তবে একটি জনপ্রিয় ইংরেজি দৈনিকের দাবি, দেশের প্রথম বন্দে মেট্রো চলবে গুজরাটের আহমেদাবাদ এবং ঢোলেরা স্টেশনের মধ্যে।
বন্দে মেট্রো ট্রেন স্বল্প দূরত্বের দুটি বড় শহর, মোটামুটি ১০০ থেকে ২৫০ কিলোমিটারের মধ্যে চলাচল করবে। ফলে এই ট্রেনেও কোনও স্লিপার ক্লাস কামরা থাকবে না। প্রথম পর্যায়ে বন্দে মেট্রোতে ১২টি কামরা যুক্ত থাকবে, পরে প্রয়োজন হলে এটি ১৬ কামরার হতে পারে। সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বন্দে মেট্রোর মোট ১০০ জন বসে যাতায়াত করতে পারবেন। এছাড়া প্রসস্ত গ্যাংওয়ে-সহ প্রতিটি কামরায় থাকছে অ্যালুমিনিয়ামের লাগেজ রাখার জায়গা। প্রতিটি কামরার দরজাই স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হবে। প্রতিটি সিটে মোবাইল চার্জিং পয়েন্ট থাকবে। এছাড়া প্রতিটি কোচে ধোঁয়া এবং আগুন সনাক্তকরণের সেন্সর এবং একটি হুইলচেয়ার নিয়ে প্রবেশের জন্য টয়লেট থাকছে। ফলে স্বল্প দূরত্বের দুটি শহরে যাতায়াতের জন্য আরামদায়ক মাধ্যম হতে চলেছে বন্দে মেট্রো ট্রেন।
Discussion about this post