রেল যাত্রীদের জন্য সুখবর। আর দেরিতে চলবে না ট্রেন। একেবারে সঠিক সময়ে এসে যাবে ট্রেন। অভিযোগ থাকবে না যাত্রীদের। যাত্রীদের সুবিধার্থে পরিষেবার বড় বদল আনছে রেল। চিন, আমেরিকা, জাপানের মতো দেশকে টেক্কা দেওয়ার মতো খবর। ভারতে তৈরি হচ্ছে রেল টেস্ট ট্র্যাক। ভারতের প্রথম ডেডিকেটেড টেস্ট ট্র্যাকিং তৈরি হচ্ছে। রাজস্থানের যোধপুর ডিভিশনে এটি তৈরি হচ্ছে। যা তৈরি করতে ৮০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় হবে।
জানা যাচ্ছে, রাজস্থানের যোধপুর ডিভিশনে তৈরি হচ্ছে ট্রেন ট্রায়াল ট্র্যাক। যা প্রায় প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ট্র্যাকটি পুরোপুরিভাবে সোজা নয়। থাকবে অনেকগুলি ঘূর্ণায়মান পয়েন্ট। এর ফলে ট্রেনে গতি কমাতে হবে না। গতি না কমিয়ে বাঁকা ট্র্যাকের ভিতর দিয়ে কীভাবে ট্রেন যাবে, তা একটি ট্রায়াল করা হবে। নওয়ানে চলছে এই ট্র্যাকের শেষ পর্যায়ে কাজ। কাজ শেষ হলেই ঘন্টায় ২৩০ কিলোমিটার গতিতে চলা বুলেট ট্রেনেরও পরীক্ষা করা হবে।
জানা গিয়েছে, নাওয়াতেই গুধা-থাথানা মিথ্রির মধ্যে ৬০ কিলোমিটার পরীক্ষামূলক ট্র্যাক তৈরি হচ্ছে। জয়পুর থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে লেকের মাঝ বরাবর এই রেলপথটি সরান হয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠছে, কেন একটি ট্রাস্ট ট্র্যাকের প্রয়োজন পড়ছে?
জানা গিয়েছে, ভারতে তৈরি কোচ, ইঞ্জিন পাশাপাশি রেকগুলি পরীক্ষা নিরিক্ষার জন্য রেলওয়েতে কোনও ডেডিকেটেড লাইন নেই। যদি রোলিং ট্র্যাক প্রয়োজন পড়ে, তখনই স্বাভাবিক ট্র্যাকে করতে হয়। এই কারণে অনেক সময় ট্রেনের সময়সূচি বদলাতে হয়। তাই যোধপুরে টেস্ট ট্র্যাক নির্মাণ করা হচ্ছে। শুধুমাত্র বুলেট ট্রেন নয়, হাইস্পিড, সেমি-হাইস্পিড এবং মেট্রোরও পরীক্ষা করা যেতে পারে।
Discussion about this post