পারফরম্যান্সই শেষকথা। গত ২১-এর জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। অভিষেকের এই মন্তব্য ছিল একেবারে দলীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে। অর্থাৎ, তৃণমূলের সংগঠনে রদবদল হতে পারে, তা ২১-এর জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই স্পষ্ট হয়েছিল। তবে কবে হতে পারে তৃণমূলের সাংগঠনিক পদে রদবদল?
দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো, দীপাবলি পার হয়ে গিয়েছে। ভাইফোঁটার পর জগদ্ধাত্রী পুজো। তারপরই মোটামুটিভাবে পুজো শেষ। আর তারপরই রাজ্যের ৬ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তৃণমূল বিজেপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। প্রচারও শুরু হয়ে গিয়েছে। দুই দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই প্রচার শুরু করে দিয়েচেন দুই দলের প্রার্থীরা। এই উপনির্বাচনকে কোনও দলই হালকাভাবে নিচ্ছে না। কারণ রাজনৈতিক মহলের মতে, এই নির্বাচন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
সূত্রের খবর, এই নির্বাচন শেষ হলেই সংগঠনের একাধিক ক্ষেত্রে রদবদল করতে চলেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, ২১ জুলাই মঞ্চ থেকে তৃণমূলের নেতা, কর্মীদের জন্য বেশ কিছু বার্তা ছিল। যা অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ। তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, পারফরম্যান্সই শেষ কথা। অর্থাৎ দলীয় কর্মীদের যেমন পারফরম্যান্স থাকবে তেমন ভাবেই তাদের সাংগঠনিক পদে দায়িত্ব দেওয়া হবে। এমনকি তিনি জানিয়েছিলেন, আগামী তিনমাসের মধ্যেই তার ফল পাওয়া যাবে। তার আগে হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। সামনে রয়েছে উপনির্বাচন। এরমধ্যে সবটা নজর রেখেছেন দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড।
সম্প্রতি, চোখের অপারেশন সেরে বাংলায় ফিরেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই সংগঠনের রদবদলের জল্পনা আরও জোরাল হচ্ছে।
এদিকে লোকসভা নির্বাচনে শহরাঞ্চলে ভোটের ফলে মোটেই সন্তুষ্ট নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এই নিয়ে। শহরের মানুষ কেন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে তৃণমূল থেকে? তা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে শুরু হয়েছে পর্যালোচনা, সূত্রের খবর। এদিকে এইবার একাধিক নেতাকে পদ খোয়াতে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে বেশ কিছু নেতাদের মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে দলকে। সেগুলিও দেখা হবে দলের তরফে। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। ২০২৬ সালে বিধানসভা ভোটের আগে ২০২৫ সালে নতুন করে দল সাজাতে শুরু করবেন মমতা-অভিষেক। কোথায় কি গাফিলতি রয়েছে সবটাই দেখা হবে বলে সূত্রের খবর।
Discussion about this post