এই মুহূর্তে দহন জ্বালায় জ্বলছে আমাদের রাজ্য। গরমের তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানুষ প্রতিনিয়তই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ঘরের মধ্যে থেকেও এই গরমে নাজেহাল হতে হচ্ছে প্রত্যেককেই। আর এই জ্বলন থেকে মুক্তি পেতে অধিকাংশ মানুষই ঘরে এয়ারকন্ডিশনার লাগাচ্ছে ঘর ঠান্ডা রাখার জন্য, এর ফলে বিদ্যুতের বিলও বাড়ছে চড়চড় করে। কিন্তু এয়ারকন্ডিশনার লাগানোর মতো সামর্থ্য সবার থাকতে নাই পারে। সেই কারনেই খুব কম খরচে ঘর ঠান্ডা রাখার একটি বিশেষ কৌশলের হদিশ দেবো আপনাদের। মাত্র চারটি জিনিসেই এসির মতো আরাম ও ঘরের তাপমাত্রাও কমবে অনেকটাই।এবার জেনে নেওয়া যাক কী সেই কৌশল
প্রথমেই বাজারে কোনো হার্ডওয়্যার এর দোকান থেকে কলিচুন বা পাথুরে চুন, জিঙ্ক অক্সাইড, হোয়াইট সিমেন্ট এবং ফ্যাভিকল কিনে নিয়ে আসুন। এরপর এই কলিচুন বা পাথুরে চুন একটি স্টিল বা লোহার বালতিতে সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। যার ফলে এটি কলিচুনে পরিণত হবে এক্ষেত্রে আপনি বাজার থেকে সরাসরি কলিচুন ও কিনে আনতে পারেন সেক্ষেত্রে সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখার কোনো দরকার হবেনা। এরপর সকালে সূর্য ওঠার আগে ওই পাথুরে চুনের মিশ্রণ টিতে পরিমানমত একে একে বাকি উপকরণ গুলি মিশিয়ে নিয়ে একটা গাঢ় মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে। এবার সেই মিশ্রণ টিকে ঘরের ওপরের ছাদে ঢেলে ঝাঁটার সাহায্যে লেপে দিতে হবে যাতে পুরো ছাদটাতেই মিশ্রণটি খুব ভালো করে বসে যায়। এই মিশ্রণটি বানানোর পরিমানের ক্ষেত্রে কিছুটা ধারণা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা, তারা জানিয়েছেন আপনার ঘরের আয়তন যদি ১১/১৩ হয় সেক্ষেত্রে ওই ঘরের জন্য আপনি নিয়ে নিন ৫কেজি পাথুরে বা কলিচুন, ১কেজি জিঙ্ক অক্সাইড, ১.৫ কেজি হোয়াইট সিমেন্ট এবং ২কেজি ফ্যাভিকল। এবার এর মিশ্রণ তৈরি করে পদ্ধতি অনুসরণে মিশ্রনটি ছাদে লেপে নিন। ছাদে লেপে দেওয়ার পর এক থেকে দের বছর পর্যন্ত এই মিশ্রণটি একইরকম থাকবে। তবে বর্ষার সময় আস্তে আস্তে ধুয়ে যেতে পারে এটি সেই জন্য প্রতি বছর গরমেই এটি আপনাকে করতে হবে ঘর ঠান্ডা রাখার জন্য।
এরই সঙ্গে যদি আপনার ঘরের উপরের ছাদ টিনের হয় তাহলে সেই টিনের ছাদে সাদা রং করে দিতে পারেন এতে কিছুটা ঠান্ডা হবে ঘর আবার টালির ছাদের ক্ষেত্রেও খড় বা নারকেলের শুকনো পাতা বিছিয়ে রাখলেও সেই ঘরের তাপমাত্রা কিছু টা কমবে। অর্থাৎ মাত্র ৫০০ -৮০০ টাকা খরচ করেই এই গরমের হাত থেকে কিছুটা মুক্তি পেতে পারেন।
দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দুবার। বড়োসড় সামরিক মহড়া ভারতের। তাও আবার একই জায়গায়। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরাও মনে করতে পারছেন না, শেষ কবে...
Read more
Discussion about this post