600 টাকা ধার চাইছেন এমএস ধোনি।জরুরি ভিত্তিতে টাকার প্রয়োজন ধোনির,পরে আবার মিটিয়ে দেবেন।শুনে অবাক হচ্ছেন নিশ্চই।ক্রিকেট তারকার ধোনি 600 টাকা চেয়ে জনে জনে মেসেজ করছেন তিনি। ইনস্টাগ্রামের প্রোফাইল ধরে ধরে ইনবক্সে এই মেসেজ করা হচ্ছে।মেসেজ এর মাধ্যমে তিনি জানাচ্ছেন তিনি রাঁচিতে আটকে পড়েছেন।আর ওয়ালেট না আনায় খুব সমস্যায় পরে গিয়েছেন তিনি। ফলে ঘরে ফেরার জন্য তাঁর দরকার ৬০০ টাকা।পরে আবার সেই টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন ধোনি।এদিকে এই মেসেজ পেয়ে রীতিমত অবাক নেটিজেনরা।
আসুন বিষয়টা খোলসা করে বলি।
সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে অনেকেই নানা ভাবে প্রতারিত হয়েছে।ভুয়া কল ভুয়া মেসেজের ছড়াছড়ি সর্বত্র।ফলোয়ার বাড়ানোর চাহিদায় অনেকেই বিখ্যাত মানুষদের নাম এবং ছবি ব্যবহার করে।আর তারকাদের সাথে কথা আলাপ করতে গিয়ে অনেকেই ফাঁদে পড়েছেন।সেক্ষত্রে লোক ঠকানোর কাজ অনেকটা সহজ হয়ে যায়।এদেশে ক্রিকেট ফুটবল ও সিনেমার অন্ধ ভক্ত প্রচুর।আর তাই প্রিয় তারকার মেসেজ পেলে যে কেউ আনন্দে আত্মহারা হবেন।কিন্তু যদি আপনার প্রিয় তারকার প্রোফাইল এর আড়ালে অন্য কোনো ব্যক্তি থাকেন তাহলে?
ধোনির ক্ষেত্রেও ঠিক এটাই ঘটেছে।
এমএস ধোনির নাম করেই একটি ফেক প্রোফাইলের মাধ্যমে মেসেজ আসছে।
অনলাইনে টাকা পাঠাতে বলছেন ও ব্যক্তি।এই ভুয়ো মেসেজকাণ্ডে ভুলেও পা দেবেন না।এরকম মেসেজ পেলেও স্রেফ এড়িয়ে যাবেন। ধোনি তার নিজগুনেই বিপুল সম্পত্তির মালিক।আইপিএলের বেতন ছাড়াও একাধিক ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট করেন তিনি।এছাড়াও রয়েছে নিজস্ব প্রোডাকশন হাউস, হোটেল ব্যবসা ও বেঙ্গালুরুতে স্কুল।যে মানুষটা চলতি অর্থবর্ষে শুধু অ্যাডভান্স ট্যাক্সই দিয়েছেন ৩৮ কোটি টাকা।
ধোনি বছরে উপার্জন করেন ১৩০ কোটি টাকা।নামীদামি কোম্পানির বিজ্ঞাপনের মুখ ধোনি। প্রতিটি ব্র্যান্ডের কাছ থেকে নিয়ে থাকেন চার থেকে ছয় কোটি টাকা। ধোনির একটি ফার্মহাউস রয়েছে রাঁচিতে। সাত একর বিস্তৃত সেই ফার্মহাউস এর মূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকার কাছাকাছি। এছাড়াও ধোনির কাছে বিশ্বের তাবড় ব্র্যান্ডের গাড়ি ও বাইক রয়েছে। যার মূল্যও কোটি কোটি টাকা।জানা যায় ধোনির মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১০৪০ কোটি টাকা।তাই ওই মেসেজ যে সম্পূর্ণ ভুয়ো ,এগুলোই তার প্রমান।
Discussion about this post