সাতটা ম্যাচ খেলার পর ছটায় হেরে প্রায় বিদায়ের মুখে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। গতকাল তিননাথ স্বামী স্টেডিয়ামে মোট রান উঠলো ৪৪৯। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ আগে ব্যাট করে মোট প্রাণ তুল্য ২৮৭ ৩ উইকেটের বিনিময়ে যেটা এ পর্যন্ত আইপিএলের রেকর্ড রান। এর আগে সানরাইজার্স ২৭৭ রান করে রেকর্ড করেছিল গতকাল সেই রেকর্ডটা ভেঙে গেল। প্রত্যুত্তরে ব্যাট করতে নেমে রয়াল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বিরাট কোহলি এবং দুপ্লেসি। চালিয়ে খেলতে শুরু করে। বিরাট কুড়ি বলে ৪২ টান এবং ডুপ্রেসি 28 বলে বা ছুটি রান করে গানটাকে বেশ খানিকটা এগিয়ে নিয়ে গেলেও জ্যাকসন পাতিদার এবং সৌরভ পরপর আউট হয়ে যায়। এরপর ব্যাট করতে নামে দিনেশ কার্তিক, ৩৮ বসন্ত পার করা এই ব্যাটসম্যান প্রথমে লুমরো এবং পরে অনুজ শর্মা কে নিয়ে প্রায় জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়েছিলেন। কিন্তু ২৬২ রানেই তাদের থামতে হলো ফলে সামান্য রানে হারলেন রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। একটি প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচে প্রাণ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন দীনেশ কার্তিক মাত্র ৩৫ বলে ৮৩ রান করে। এই বয়সেও অনবদ্য তার ব্যাটিং যা মানুষকে মুগ্ধ করে।
১৯৮৫ সালের পয়লা জুন জন্মেছিলেন তামিলনাড়ুর এই ব্যাটসম্যান উইকেট কিপার দীনেশ কার্তিক। মাইন্দার সিং ধোনির আগমনের আগেই ভারতীয় ক্রিকেট দলে দীনেশ কার্তিক ছিলেন উইকেট রক্ষকদের মধ্যে অন্যতম একজন কিন্তু তা সত্ত্বেও ভারতীয় দলের থাকা এবং বাইরে থাকা এবং সীমিত সুযোগের মধ্যে তিনি স্ট্যাম্পের পেছনে এবং ব্যাট হাতে প্রশংসনীয় পারফর্ম করেছেন। এ পর্যন্ত আইপিএলের ২৩৯ টি ম্যাচ খেলে তার রান সংখ্যা ৪৭৪২ অ্যাভারেজ 26 এর একটু বেশি স্ট্রাইক রেট ১৩৫। কাজেই দীনেশ কার্তিক বরাবরই যে দলে খেলেছেন সেই দলের ভরসা হয়ে উঠেছেন। আইপিএল বাদে তিনি ৩৯৩ টি টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তার রান সংখ্যা ৭৩০৭ এভারেজ ২৭ এর বেশি এবং স্ট্রাইক রেট১৩৬ এর বেশি। । কার্তিক তার শিখর সময় সর্বোচ্চ স্তরে খেলা থেকে বাদ পড়েছেন তেমন ধনীর যুগে অন্যান্য অনেক কিপার ছিল। ২০১৪ সালে শেষের দিকে ধনী টেস্ট থেকে অবসর নেয়ার পর সুযোগ শেষ পর্যন্ত এসেছিল কিন্তু ঋদ্ধিমান সাহাকে তার আগে নেওয়া হয়েছিল এবং সাহার অনবদ্য পারফরমেন্স কার্তিককে দলের বাইরে করে দেয়।
দীনেশ কার্তিক প্রান্ত থেকে বিরোধীদল লড়াই তার আইপিএল ক্যারিয়ারে কোন প্রভাব ফেলে নেই কারণ দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে প্রায় 2.4 কোটি দিয়ে আইপিএলের উদ্বোধনী সংস্করনের জন্য তাকে বেছে নিয়েছিল। দু’বছর পর কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবে চলে যান দিনেশ কার্তিক। এরপর মুম্বাইয়ের হয়ে উনিশে নিচে ৫০০ রান করা দীনেশ কার্তিক তাদের জয় মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিল। দীনেশ কার্তিক বরাবরই একজন অবহেলিত ক্রিকেটার, টেস্ট ওয়ানডে টি-টোয়েন্টি যখনই তাকে প্রয়োজন হয়েছে তখন সে প্রাণ ঢেলে খেলেছে কিন্তু আবার বাদ গেছে, আবার ফিরে এসেছে কার্তিক এরকমই, সে হাঁটতে শেখেনি এই বয়সে এসেও তার স্ট্রাইকরেট প্রশংসারযোগ্য, যেকোনো জুনিয়র খেলোয়াড়দের ঈর্ষা করার মতো তার ফিটনেস । সালাম দীনেশ কার্তিক।
Discussion about this post