আইপিএল এই ক,বছরে কত যে অনামী ক্রিকেটারকে রাস্তা থেকে তুলে নাম যশ খ্যাতি দিয়েছে তার কোন ইয়ত্তা নেই । শুধু গলির ক্রিকেটারদের স্টার বানিয়েছে তাই নয়। দেশের ক্রিকেটকেও সমৃদ্ধ করেছে এই আইপিএল। কত যে অনামী খেলোয়াড় প্ল্যাটফর্ম পেয়েছেন তাদের যোগ্যতা প্রমান করার, তা বলে শেষ করা যাবে না। তাদের মধ্যে একজন হলেন রিঙ্কু সিংহ। যিনি উত্তরপ্রদেশের একটি দরিদ্র পরিবারে পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন, তার বাবা খানচন্দ্র সিংহ একটি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিতে কাজ করতেন। এমন কি রিঙ্কু সিংহও কাজের চেষ্টায় কয়েক জায়গায় ঘুরেছেন। আইপিএল না থাকলে হয়তো যাকে কেউ চিনতা না, নিজেকে প্রমান করার সুযোগ না পেয়ে যাকে হারিয়ে যেতে হত কোন চোরা গলির অন্ধকারে। প্রথম তিনি সবার নজরে আসেন গত বার গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে শেষে পাঁচ বলে পাঁচটি ছক্কা মেরে। বলা যায় তখন থেকেই নায়ক হয়ে উঠেছিলেন রিঙ্কু সিংহ। তার পর থেকেই ক্রমশ ভারতীয় ক্রিকেটে পরিচিতি বেড়েছে তাঁর। এই রিঙ্কু সিংহ ব্যাট হাতে বোলারদের শাসন করলেও ভূতের ভয় পান । একবার একটি বাঁদর তাঁকে ছ’বার কামড়েছিল। ইডেনে দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচের আগে নিজেই জানিয়েছেন এই কেকেআর ব্যাটার।
একটি সাক্ষাৎকারে রিঙ্কু জানান,কেউ যদি ভূতের গল্প করেন তা হলে নাকি রাতে একা ঘুমোতে পারেন না। তিনি বলেন, “আমি ছোটবেলায় একা ঘুমোতে পারতাম না। এখনও যদি কেউ ভূতের গল্প করে তা হলে আমি একা ঘুমোতে পারি না। খুব ভয় লাগে। তখন আমাকে রাতে একা ঘুমোতে হলে ঘরের লাইট জ্বালিয়ে রাখতে হয় ।” ছোটবেলায় এক বার বাড়িতে বাঁদরের কামড় খেয়েছিলেন রিঙ্কু। একটি বাঁদরই নাকি ছ’বার কামড়েছিল তাঁকে। রিঙ্কু বলেন, “ছোটতে আমাদের গ্রামে প্রায়ই বাঁদরের উৎপাত হত। এক বার আমি বাড়ির বাইরে বসেছিলাম। একটা বাঁদর এসে আমাকে কামড়েছিল। এক বার নয়, ছ’বার। আমাকে ইঞ্জেকশন নিতে হয়েছিল। আমার মনে হয়, বাঁদরটা আমাকে ভালবেসে ফেলেছিল। সেই কারণে এত বার কামড়েছিল।” একথা বলার পর নিজেই হেসে ফেলেন রিঙ্কু।
Discussion about this post