একজন অধিনায়কের কাজ শুধু মাঠে নেমে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া নয়। দলে কার কি যোগ্যতা আছে তা বুঝে তাকে তার সেই যোগ্যতার জায়গাটা শুধরে দেওয়া। কিন্তু সব ধরণের খেলাতেই এমন অনেক অধিনায়ক আছেন যারা ভুল করলেও কখনও তা স্থিকার করেন না। কিন্তু ইনি করেন কারণ এই মানুষটি বাইরে এবং ভিতরে এক নন। বাইরে থেকে দেখলে যতটা কঠিন মনে হয়, ভিতরে ততটাই নরম। তাই কোন ভুল হয়ে গেলে ভুলতে না পেরে অনুশোচনায় ভুগতে থাকেন। হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন আমরা বলছি কেকেআরের এক সময়ের অধিনায়ক এবং বর্তমানে মেন্টর গৌতম গম্ভীরের কথা।এক সময় কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলেছেন দাপটের সঙ্গে । অধিনায়ক হিসাবে দলকে দু’টি আইপিএলে জিতিয়েছেন পেয়েছেন আপামর কলকাতাবাসীর ভালোবাসা। এখনও তার হাতে দলের দায়িত্ব তুলে দিয়ে নিশ্চিন্ত থাকেন দলের মালিক কিং খান। তাই তাকে ফিরিয়ে এনেছেন দলের মেন্টর করে। সেই গৌতম গম্ভীর আবার ফিরে গেলেন নিজের পিছনের সময়ে, যখন তিনি ছিলেন কলকাতার অধিনায়ক। জানালেন অধিনায়ক থাকা কালিন একটি আক্ষেপের কথা। ঘটনা হল ২০১২ এবং ২০১৪ সালে গম্ভীরের নেতৃত্বে আইপিএল জিতেছিল কেকেআর। কিন্তু নিজের অধিনায়কত্বের স্মৃতি ফিরিয়ে এনে গম্ভীর জানালেন, সূর্যকুমার যাদবকে বুঝতে না পারা এবং তাঁর প্রতিভাকে কাজে না লাগাতে পারা তাঁর জীবনের অন্যতম ত্রুটি যার জন্য আজও আক্ষেপ করেন তিনি। ২০১৪ সালে কেকেআর কিনেছিল সূর্যকে। কলকাতায় সেভাবে সুযোগ না পেয়ে ২০১৭ সালে তিনি চলে যান মুম্বইয়ে।
এক সাক্ষাৎকারে গম্ভীর বলেছেন, “একজন নেতার কাজ হল দলের প্রত্যেকের প্রতিভা খুঁজে বার করা এবং গোটা বিশ্বের কাছে সেই প্রতিভার পরিচয় করানো। যদি সাত বছরের অধিনায়কত্বে আমার কোনও ত্রুটি থাকে যার জন্য আজও আমার আক্ষেপ হয়, তা হলে সেটা হল সূর্যকুমার যাদবকে ঠিক মতো কাজে লাগাতে না পারা।”
কোন পরিস্থিতিতে তিনি সূর্যকে কাজে লাগাতে পারেননি, সেটাও ব্যাখ্যা করেছেন গম্ভীর। বলেছেন, “দলের কম্বিনেশনের জন্যই সেটা পারিনি। তিন নম্বরে একজন ক্রিকেটারকে খেলানো যায়। নেতা হিসাবে প্রথম একাদশে থাকা বাকি ১০টা ক্রিকেটারের কথাও ভাবতে হবে। তিন নম্বরে ও অনেক ভাল খেলতে পারত। কিন্তু আমাদের দলে সাত নম্বরেও ভাল খেলেছে।” যদি ২০১৪ তে সূর্যকে তিনি ঠিক ঠিক বুঝতে পারতেন তাহলে অনেক আগেই ভারত এক জন প্রতিভাকে পেয়ে যেত।
Discussion about this post