প্লে অফ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে শর্তটা খুব সহজ । ঘরের মাঠে গুজরাট এবং পাঞ্জাবকে হারাতে হবে । বৃহস্পতিবার গুজরাট টাইটানস এর বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগেই সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের তারকা এডেন মার্করাম জানিয়েদিলেন, দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা এবং ট্রাভিস হেডের ব্যাট শুরু থেকে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলেই তাদের অর্ধেক কাজ হয়ে যাবে । বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে এসে মার্করাম বলেছেন, ব্যাটিং আমাদের দলের বড় শক্তি । দুই ওপেনার যেভাবে পাওয়ার প্লে তে প্রতিপক্ষ বোলারদের সমস্ত আক্রমন ভোঁতা করে দেয় সেটা আমাদের বাড়তি স্বস্তি এনে দেয়।
তিনি বিশেষ প্রশংসা করেছেন অভিষেক শর্মার। বলেছেন ,অভিষেকের ব্যাটিং আমি ব্যক্তিগতভাবে দারুণ উপভোগ করছি। খুব ঠান্ডা মাথায় দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করে অভিষেক। পুরো মরশুম ও ছন্দটা ধরে রেখেছে, বরং এক ধাপ এগিয়ে মার্করাম বলেছেন ,গত মরসুম থেকে ও কতটা পরিণত এবং ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে সেটা বারবার প্রমাণ করে দিয়েছে । এই মেজাজ ধরে রাখতে পারলে আমি বিশ্বাস করি, ভারতীয় দলে জার্সি গায়ে তুলতে খুব বেশি সময় নেবে না অভিষেক। ওদিকে হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আগে গুজরাটের অধিনায়ক শুভমান গিল জানিয়েছেন , চোট সমস্যা তাদের দলের ভারসাম্য ব্যাহত করেছে।
সাংবাদিক বৈঠকে শুভমান বলেন, আই পি এল এর মত মঞ্চে ভালো কিছু করতে হলে ধারাবাহিকতা থাকা খুব জরুরী। আমরা সেটা দেখাতে পারিনি। তিনি আরো যোগ করেন , তার অন্যতম কারণ চোট। বেশ কিছু ক্ষেত্রে আমরা বাধ্য হয়েছি দলকে পাল্টে ফেলতে। তবে সেটা নিয়ে বেশি আলোচনা যাব না। অনেক ম্যাচে আমরা নিশ্চিত জয় হাতছাড়া করেছি সেটাও ব্যর্থতার কারণ। গত দু বছরের মধ্যে প্রথম বছর চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল গুজরাট । গত বছর রানার্স হয় সিএসকের কাছে ফাইনালে হেরে। এবারে তাদের পারফমেন্স একেবারেই ভালো নয়। ১৩ টি ম্যাচে ১১ পয়েন্ট পেয়ে তারা অষ্টম স্থানে রয়েছে । গুজরাটের মূল পর্বে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই কিন্তু গতকাল রাজস্থান হেরে যাওয়ায় দ্বিতীয় স্থানের লড়াইয়ে ফিরে এসেছে সানরাইজ হায়দ্রাবাদ এবং সিএসকে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ১৯শে মে যদি রাজস্থানকে হারিয়ে যায় কেকেআর তাহলে এই দুই দলের কাছে সেই সুযোগ আরও বাড়বে। সেক্ষেত্রে হায়দ্রাবাদকে শেষ দুই ম্যাচে জিতলেই হবে। এক ম্যাচ জিতলে নেট রাননেট হিসাব আসবে। আবার চেন্নাই শেষ ম্যাচ জিতলে সেই রান রেটের অংক দেখা হবে।
Discussion about this post