পাওয়ার প্লে ম্যাজিক । শুরুতে ফিল সল্ট আর সুনীল নারিন জুটির ভেলকি এবারের কেকেআরের আসল ইউএসপি। এমনই মত প্রাক্তন অস্ট্রেলিয় টম মুডির । তিনি মনে করেছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য সল্টকে ছেড়ে দিতে হওয়ায় আজ মঙ্গলবার আমেদাবাদে কিছুটা ব্যাকফুটে থাকতে হতেই পারে কেকেআর কে। বিকল্প হিসেবে কে খেলবে বেঙ্কটেশ , গুরবাজ না নীতিশ রানা? গত দুটো ম্যাচে বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় গুরবাজের ফর্ম দেখে নেয়া সুযোগ পায়নি কেকেআর ম্যানেজমেন্ট। তিনি শেষ ম্যাচ খেলেছেন গত মার্চে । আইপিএলে একটি ম্যাচে খেলেনি। তবে গুরবাজ এগিয়ে কিপার হিসেবে । সল্ট না থাকতে পারেন কিন্তু চাপ নেওয়ার জন্য নারিন , রিংকু, রাসেল , শ্রেয়াস , ভেঙ্কটেশরারা তৈরি । তবে ১১ই মে লাস্ট শেষ ম্যাচ খেলেছে কে কে আর। টানা ১০ দিন কম্পিটিটিভ ক্রিকেটের বাইরে টিম ।
এতদিন ম্যাচের মধ্যে না থেকে হঠাৎ নেমে পড়তে হলে সমস্যা হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। লিগে একবার দেখা হয়েছে দুটো টিমের। ইডেনের সেই ম্যাচে ট্রাভিস হেড খেলেননি। সেই ম্যাচে শেষ ওভারে ক্লাসেনকে থামিয়ে কেকেআর-কে জয় এনে দিয়েছিল হর্ষিত রানা। গুরুত্বপূর্ণ হলো নারিনের বিরুদ্ধে সানরাইজার্স পেসার ভুবনেশ্বরের রেকর্ড ভালো। আগে দুবার আউট করেছেন। প্রতিপক্ষ সানরাইজার্স ও এবার ডাকাবুকো ও ভয়ডর হীন ব্যান্ডের ক্রিকেট খেলছে। পাওয়ার প্লে তে প্রতিপক্ষকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়ে ট্রাভিস,অভিষেক শর্মা জুটি এতটাই সফল যে ভক্তরা নাম দিয়েছে ‘ট্রাভিষেক’।
ট্রাভিষেক হিট করলেই কেকেআর কেন যে কোন টিমের কপালে দুঃখ আছে। এই জুটির পরেই আছে রাহুল ত্রিপাঠী ।মনে রাখতে হবে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম উইকেট যদি কালো মাটির হয় তাহলে রানের উৎসব দেখা নাও যেতে পারে। এর আগে এ স্টেডিয়াম দিকে গুজরাটের সামনে মাত্র ১৬২- ৮ তুলেছিল হায়দ্রাবাদ। কেকেআর টিম কম্বিনেশন কেমন হবে? বিশেষজ্ঞ কিপার হিসেবে গুরবাজের থাকাটাই স্বাভাবিক। নীতিশ খেলতে পারে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে। অনুকুল রায় বা পেসার বৈভব খেলতে পারেন। আবার হায়দ্রাবাদের চমক হতে পারে শ্রীলঙ্কার জাফনা থেকে আসা তরুণ লেগ স্পিনার বিজয়কান্ত বিয়াসকন্ঠ। বিশেষজ্ঞদের মতে পাওয়ার প্লের প্রথম ছয় ওভার ঠিক করে দিতে পারে ম্যাচের ভাগ্য।
Discussion about this post