বছরের শুরুতেই দুরন্ত জয় কেকেআর এর।বাংলা নববর্ষের দিনই হলখাতা করল কেকেআর।বাঙালি পার্বন আর ম্যাচ জয়ের আনন্দে আত্মহারা বাঙালি।গতকাল আইপিয়েল এ মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স ও লখনউ সুপার জয়ন্টস।এই ঐতিহাসিক জয়ের সাক্ষী রইলেন খোদ মালিকও।গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন শাহরুখ খান।কিং খানের সামনেই দাপটের সঙ্গে ম্যাচ জিতে নিল কেকেআর। ফিল্ট সল্টের ব্যাটিং এর কাছে কার্যত হারতে হয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে।
গতকালের ম্যাচ বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল কলকাতার কাছে। লখনউকে হারানোর দুটো উদ্দেশ্য ছিল কেকেআরের।প্রথমত , পয়েন্ট টেবিলে জায়গা ধরে রাখতে ম্যাচ জিততেই হত। দ্বিতীয়ত রেকর্ড ভাঙার জন্যেও লখনউকে হারাতেই হত। কারণ এর আগে আই পি এল এ লখনউকে কখনই হারাতে পারেনি নাইটরা।৩টি সাক্ষাতেই হার নিয়ে বাড়ি ফিরেছে কলকাতা।
গতকাল টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন শ্রেয়স আইয়ার। তার সিদ্ধান্ত যে একেবারেই সঠিক ছিল তার প্রমাণ দিচ্ছে ম্যাচের ফলাফল। পাওয়ার প্লে তে লখনউয়ের দখলে আসে মাত্র ৪৯ রান। ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে লখনউয়ের জয়ের যাত্রাকে শুরুতেই থামিয়ে দিয়েছিল সুনীল নারাইন। ইডেনের ব্যাটিং পিচে কিভাবে রান আটকাতে হয় সেটাও দেখিয়ে দিলেন তিনি।
কলকাতার বোলারদের তাণ্ডবের সামনে টিকতেই পারলেন না ডি কক আর দীপক হুডা । ক্রিজে নামতে না নামতেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হল লখনউয়ের নায়ক আয়ুষ
বাদোনিকেও ,২৭ বলে ২৯। রাহুল কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা আর হলনা ২৭ বলে ৩৯। পাওয়ার প্লে তে যদিও বা কিছু রান উঠেছিল, পরের ৬ ওভারে আলোই মন্থর হয়ে যায় লখনউয়ের ব্যাটিং। পরের দিকে নিকোলাস ম্যাচ ফেরানোর চেষ্টা করলেও ম্যাচ ততক্ষণে নাইটদের কন্ট্রোলে।শেষ ৫ ওভারে লখনউয়ের ঝুলিতে আসে মাত্র ৪৮ রান। লখনউ থেমে যায় মাত্র ১৬১ রানেই।
একই সাথে কলকাতার ম্যাচের হিরো হয়ে উঠলেন মিচেল স্টার্ক । সমস্ত সমালোচনার যোগ্য জবাব দিল তার বল। গত ৪ ম্যাচে তার পারফরমেন্স দেখে কম সমালোচনা হয়নি। তবে গতকাল নিজের জাত চিনিয়ে দিলেন অজি তারকা। ২৮ রানের বদলে ৩টি উইকেট নিয়ে গতকালের ম্যাচ জেতানোর অন্যতম কারিগর তিনি।সেই সাথে সঙ্গ দিলেন কলকাতার ব্যাটাররাও। ৪৭ বলে ৮৯ রান করলেন ফিল সল্ট। বোলিং-র ক্ষেত্রেও লখনউয়ের বোলিংয়ে ময়ঙ্ক যাদবের অভাব বার বার বোঝা গেল।নব বর্ষের শুরুটা কলকাতার জন্য চমৎকার কেটেছে।একে তো ঘরের মাঠে ম্যাচ,সমর্থকের পাশে পেয়েছিল কেকেআর।নবর্ষের দিনে অন্য কোনো প্লান না করে মাঠে খেলা দেখতেই গেছিল কেকেআর ভক্তরা।উপরি পাওয়া আবার শাহরুখ খান।তিনিও মাঠেই ছিলেন।
টানটান উত্তেজনা নিয়েই খেলা শুরু হয়।শেষমেষ জয়ের আনন্দেই ঘরে ফিরল ক্রিকেট ভক্তরা।
Discussion about this post