গত বছর মোহনবাগান আইএসএল লিগ জিতেছিল, কিন্তু ফরওয়ার্ডের সমস্যায় ভুগেছিল। দিমিত্রি পেট্রাটোস ছাড়া ছিল না কোন নামকরা ফরওয়ার্ড। কখনো কি আর নাসরি কখনো মানবির সিং কখনো কখনো লিস্টান কুলার থেকে দিয়ে ফরওয়ার্ড চালানো হয়েছে । এবছর দল গঠনের সময় অনেক চিন্তা ভাবনা করে আরমানদো সাদিকু এবং জেসন কামিন্সকে আনা হয় । ফিরিয়ে আনা হয় জনি কাউকো কে মাঝমাঠের জন্য। শাহ আল আব্দুল সামাদ আসিস কোরিয়ান এর মত নামকরা ভারতীয় মিডফিল্ডারদের নেওয়া হয় । ডিফেন্সের যোগ দেয় আনোয়ার আলী, নতুন বিদেশী ডিফেন্ডার হেক্টর উৎসে । সব মিলিয়ে একটি শক্তিশালী দল গঠন করা হয় মোহনবাগানের। কোচ ওয়ান ফ্রেন্ডের সঙ্গে টেকনিক্যাল ম্যানেজার করা হয় আনতানিও ও লোপেজ হাবাসকে । এএফসি ট্রফিতে এবং প্রথমদিকের আই এস এল ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পর কোচ ওয়ান ফেরেন্দকে ছড়িয়ে আবসের হাতে তুলে দেওয়া হয় দলকে। হাবাস কোচ হয়ে প্রথমে ছেঁটে ফেলেন হুগো বুমোসকে । হুগো বুবস যথেষ্ট ভালো প্লেয়ার হওয়া সত্বেও শৃঙ্খলা পরায়ন ছিলেন না। হাবাস অত্যন্ত কড়া কোচ এবং শৃঙ্খলাই তার কাছে প্রধান। এছাড়া প্লেয়ারদের ফিটনেস ফিরিয়ে নিয়ে আসেন তিনি অনেক বেশি পরিশ্রম করিয়ে । হাবাস কোচ হওয়ার পর থেকে মোহনবাগান ভালো খেলতে শুরু করে । হাবাসের অনুপস্থিতিতে কেরল ব্লাস্টার্সের কাছে মোহনবাগান হেরে যায় । এবং মুম্বাই এফসির কাছ থেকে পয়েন্ট পিছিয়ে পড়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুম্বাই এফসিকে হারিয়েই মন বাগান শিল্ড জয় করল। মনমানের এবারের জয় সবচেয়ে বড় ভূমিকা কোচ হাভাসের । এবারে মোহনবাগানের ডিফেন্স খুব ভালো খেলেছে এবং ফরওয়ার্ডের যোগ্য সঙ্গত দলকে সাফল্যের মুখ দেখায় । আর রয়েছে সমর্থকদের ভূমিকা। মোহনবাগানের প্রতি টি ম্যাচেই বিপুল সমর্থন মনমানকে ভালো খেলতে উৎসাহিত করে । সবমিলিয়ে মোহনবাগানের টিম গেমি মন বাগানের সাফল্যের কারণ।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের অংশ গ্রহন নিয়ে, পাকিস্তানের সঙ্গে অনেক দড়ি টানাটানির পর, যদিও বা হাইব্রিড মডেলে ভারত পাকিস্তান রাজি হল।...
Read more
Discussion about this post