বীরভূম রয়েছে বীরভূমেতেই। কাজল কেষ্টর দ্বন্দ্ব যেন কাটতেই চাইছে না। এমনিতেই জেলা সভাপতির পদ অবলুপ্ত হয়েছে। দেখভালের দায়িত্বে কোর কমিটি। কিন্তু গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব অব্যাহত রয়েছে। এবার সেই গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব কিভাবে শেষ করা যায়, সেই নিয়ে আলোচনা হল কোর কমিটিতে। জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকে উপস্থিত হয়ে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল এবং কাজল শেখ। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভাজনমূলক পোস্ট করলে কড়া পদক্ষেপ করবে দল। এক্ষেত্রে রেয়াত করা হবে না। এমনটাই জানালেন কোর কমিটির আহ্বায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক কি বলেছেন তিনি, শুনুন
অন্যদিকে প্রশ্ন উঠছে, বীরভূম হাত ছাড়ার ভয়ে রয়েছে কি তৃণমূল? সেই কারণেই এই বৈঠক?
জানা যায়, এদিন বিকেল ৩.৩০ মিনিট নাগাদ রুদ্ধদার বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন, কোর কমিটির আহবায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা,সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী,তৃণমূল জেলা সম্পাদক সুদীপ্ত ঘোষ, কাজল শেখ ও অনুব্রত মণ্ডল। এছাড়া দুই আমন্ত্রিত সদস্য বীরভূমের সংসদ শতাব্দী রায় এবং বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল।
তবে মধ্যমণি ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বৈঠক থেকে বেরিয়ে বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, আগামী ২৯ জুন জেলা কমিটির বৈঠক ডাকা হবে। দল তো একটাই। একসঙ্গে সবাই মিলে কাজ করছে। এত বড় দল, মতবিরোধ হতেই পারে। তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন।
উল্লেখ্য, কাজল কেষ্টর মধ্যে দ্বন্দ্ব মেটাতে কলকাতায় অনুব্রত মণ্ডল এবং কাজল শেখকে আলাদা করে নিয়ে বৈঠক করতে হয়েছে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ও ফিরহাদ হাকিমকে। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব নিয়ে সতর্ক হতে চাইছে দল। আর সেই কারণেই বিভিন্ন উপায়ে কাজল কেষ্ট দ্বন্দ্ব মেটাতে চাইছে। এখন দেখার, পরবর্তী ক্ষেত্রে কি দেখা যায়।
Discussion about this post