স্কুলের খেলার মাঠ দখল করে রাখা আছে ইমারতি দ্রব্য। মাঠের পাশে পড়ে রয়েছে ইট, বালি। মাঠের একপাশে বাধা গরু ছাগল। দীর্ঘ ১০-১২ বছর ধরে খেলতে পারছে না স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। পুরশুড়া ব্লকের উত্তর চক্রের বাখরপুর সোয়ালুক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা।
পড়াশোনার পাশাপাশি শিশুদের মানসিক বিকাশে খেলাধূলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে কোন স্কুলের আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে খেলার মাঠ। আর সেই মাঠই যদি বেঘোরে দখল হয়ে যায়? পুরশুড়া ব্লকের উত্তর চক্রের বাখরপুর সোয়ালুক প্রাথমিক বিদ্যালয়। দীর্ঘ ১০-১২ বছর ধরে খেলতে পারছে না স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। কারণ স্কুলের মাঠের একাংশ দখল হয়ে গিয়েছে। মাঠের পাশে পড়ে রয়েছে ইমারতি দ্রব্য। ইট, বালি সহ অন্যান্য। স্থানীয় মানুষ ও অভিভাবকদের বক্তব্য দীর্ঘ ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই সমস্যা চলে আসছে।
স্কুলের মাঠের একাংশ উন্মুক্ত। প্রাচীর না থাকার কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা ছুটে রাস্তায় চলে আসছে। আর সেই কারণেই বার বার দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে। একসময় স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল ১৫০। সেখান থেকে কমে পড়ুয়ার সংখ্যা বর্তমানে ৩০ থেকে ৩৫। নিরাপত্তা ও স্কুলের পরিবেশের কথা ভেবে পড়ুয়াদের অন্যত্র ভর্তি করাচ্ছেন অভিভাবকরা। স্থানীয়দের দাবি অবিলম্বে স্কুলের চারপাশে প্রাচীর দেওয়া হোক। পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা হোক স্কুল চত্বর।
ইটের খাঁজে প্রায়শই দেখা যাচ্ছে সাপ। ভাঙামোড়া পঞ্চায়েতের প্রধান তপন সামুই জানাচ্ছেন আগে বহুবার মিটিং করা হয়েছে এই সমস্যা নিয়ে। স্থানীয়দের বার বার বলা সত্ত্বেও সচেতন করা যাচ্ছে না। পঞ্চায়েত ফাণ্ডে পর্যাপ্ত টাকা না থাকার কারণে সম্ভব হচ্ছে না প্রাচীর তৈরির কাজ।
স্কুলের মাঠ ঘিরে স্থানীয়দের কার্তিকলাপে আপাতত অস্বস্তিতে অভিভাবকরা। মাঠ দখল, স্কুলের মাঠে খেলার পরিবেশ না পাওয়া। সব মিলিয়ে ক্ষোভ জমছে অভিভাবকদের মনে। পড়ুয়াদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন অনেকেই।
Discussion about this post