শারীরিক অসুস্থতার কারণে দক্ষিণ মালদহ কেন্দ্র থেকে এবারে আর ভোটে দাঁড়াননি বিদায়ী সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী ওরফে ডালু। পরিবর্তে এআইসিসিকে রাজি করিয়ে ওই আসনে প্রার্থী করেছেন ছেলে ইশা খানকে।শুধু তাই নয়, ছেলের জয় নিশ্চিত করতে অসুস্থ শরীরেই ময়দানে নেমে পড়েছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা ডালু। সূত্রের খবর, দক্ষিণ মালদহ কেন্দ্রে আইএসএফ যাতে প্রার্থী না দেয় সেজন্য আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকীকে চিঠিও দিয়েছেন ডালু। সূত্রের দাবি, প্রয়াত বরকত গনি খান চৌধুরীর পরিবারের সঙ্গে নওসাদের পরিবারের সম্পর্ক রয়েছে অনেক আগে থেকেই।
নির্বাচনী প্রচারের খরচ দান করে নজির গড়েছেন নন্দকুমার বাজারের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক
সমর্থন নিশ্চিত করতে চিঠিতে ‘পারিবারিক সম্পর্কে’র কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।এব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমের সামনে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি আবু হাসেম খান চৌধুরী। তবে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান সাংসদের চিঠি প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন নওসাদ। সংবাদ মাধ্যমকে নওসাদ বলেন, “আমি ভোটের প্রচারে ব্যস্ত রয়েছি। তবে একটি চিঠি এসেছে শুনেছি৷ চিঠি না পড়লে বিস্তারিত কিছু বলতে পারব না।” সমর্থনের বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলতে চাননি নওসাদ। দক্ষিণ মালদহ কেন্দ্রে ১৯৮০ সাল থেকে কংগ্রেস জিতে আসছে। গতবারে অবশ্য অল্প ব্য়বধানে জয় এসেছিল। মাত্র আট হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন ডালু।
শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিরোধী ভোট ভাগাভাগি হলে তৃণমূল বা বিজেপি সুবিধা পেয়ে যেতে পারে। সূত্রের দাবি, চিঠিতে এই প্রসঙ্গটিরও উত্থাপন করা হয়েছে। বিরোধী ভোট ভাগাভাগি রুখতে মরিয়া ডালু অসুস্থ শরীরেও লোকসভা এলাকায় একাধিক বৈঠকও সেরেছেন। চিঠির ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও ডালু বলেন,”১৯৮০ থেকে দক্ষিণ মালদহ কংগ্রেস জিতে আসছে। বিধায়ক হিসাবে ইশা সুজাপুর কেন্দ্রে ভাল নাম করেছিল৷ এলাকার মানুষও ওকে সাংসদ হিসাবে চায়। সেকারণেই আমি ছেলের হয়ে প্রচারে নেমেছি।”
Discussion about this post