শুধু লক্ষ্ণীর ভাণ্ডারে ১০০০ টাকা নয়। জানেন কি, বাংলায় আরও একটি প্রকল্প আছে যেখানে পাওয়া যায় ৫০০০ টাকা করে। বাংলার সাধারণ মানুষের সুবিধা-অসুবিধা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ সরকার নানা জনমুখী প্রকল্প চালু করেছে। এরমধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার প্রকল্প। ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগেই রাজ্য সরকার মহিলা ভোটারদের মন পেতে লক্ষ্ণীর ভাণ্ডারের অনুদান ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করেছে। কিন্তু আপনারা জানেন রাজ্যের তৃণমূল সরকারের তরফে রাজ্যের কিছু এলাকার বাসিন্দারা ৫০০০ টাকা করে অনুদান পেয়ে থাকেন। এই প্রকল্পের নাম সমুদ্র সাথী প্রকল্প। এই প্রকল্পের সুবিধা মূলত উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারাই পেয়ে থাকেন। পাশাপাশি এই প্রকল্পের অনুদানও সারা বছর ধরে পাওয়া যায় না।
প্রতি বছর ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকে মৎসজীবীদের। ফলে এই দুইমাস চরম আর্থিক সমস্যায় পড়েন মৎসজীবীরা। তাঁদেরই কিছুটা আর্থিক সুরাহা দিতে এই বছর নতুন একটি প্রকল্প চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সমুদ্র সাথী নামে এই প্রকল্পে মৎসজীবীদের পরিবারদের ৫০০০ টাকা করে দুমাসে মোট ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে নবান্ন। চলতি বছর বাজেটে এই প্রকল্প ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছেন, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুরের মৎসজীবীদের এই দুই মাস সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা থাকে। তাই কিছুটা আর্থিক সুরাহা দিতে রাজ্য সরকার এই তিন জেলার মৎসজীবীদের ৫০০০ টাকা করে অনুদান দেবে।
তবে যারা এই প্রকল্পের সুবিধা নেবেন, তাঁদের মানতে হবে কিছু শর্ত। সমুদ্র সাথী প্রকল্পের জন্য উপভোক্তাদের বয়স হতে হবে কমপক্ষে ২১ বছর। আবেদনকারীদের অবশ্যই উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বাসিন্দা হতে হবে। মৎসজীবী হিসেবে নথিভূক্ত হতে হবে। মৎসজীবী পরিবারের একজনই পাবেন এর সুবিধা।
সমুদ্র সাথী প্রকল্পের সুবিধা পেতে নিদর্শ-১ ফর্ম পূরণ করতে হবে। এছাড়া মৎস দফতরের ওয়েব পোর্টালে গিয়েও অনলাইনে ফর্ম পূরণ করা যাবে। তবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ওই পোর্টালে আপলোড করতে হবে। এই প্রকল্পের অধীনে সব আবেদনই সরজমিনে তদন্ত করেই টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করবে মৎস দফতর। সমুদ্র সাথী প্রকল্পে আবেদনের জন্য লাগবে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, মৎসজীবীদের জন্য নির্দিষ্ট রেজিস্ট্রেশন কার্ড এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য। ফলে কেবলমাত্র এই তিন জেলার মৎসজীবীরাই আবেদন করতে পারবেন।
Discussion about this post