দেবের পর এবার শান্তনু ঠাকুর। মঞ্চ ভেঙে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। রবিবার সন্ধ্যায় বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী গোবরডাঙার পিকলো মোড়ে গিয়েছিলেন প্রচারে। প্রচার শেষে তাঁর একটি পথসভা করার কথা ছিল। সেই জন্য বাঁধা হয়েছিল মঞ্চ। কিন্তু বিজেপি প্রার্থী সেই মঞ্চে ওঠার পরই ঘটে বিপত্তি। আটমকা মঞ্চটি বসে যায়। ফলে শান্তনু ঠাকুর-সহ মঞ্চে থাকা অন্যান্য বিজেপি নেতারা বেসামাল হয়ে পড়েন। যদিও নিরাপত্তাকর্মীরা শান্তনুকে ধরে ফেলায় বড় ধরণের বিপত্তি ঘটেনি। তবে ঘটনার পরই এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছিল। পাশাপাশি প্রশ্ন ওঠে ওই মঞ্চের পরিকাঠামো এবং গুণগতমান নিয়েও। উল্লেখ্য, ওই সময় মঞ্চে শান্তনু ঠাকুর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির দুই বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া এবং সুব্রত ঠাকুর। কারও চোট বা আঘাত লাগেনি বলেই বিজেপি সূত্রে খাবর।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী চলচিত্র অভিনেতা দেবের একটি নির্বাচনী জনসভার মঞ্চ ভেঙে একইরকম বিপত্তি ঘটেছিল। এবার বনগাঁর বিজেপি প্রার্থীও একই ঘটনার সাক্ষী থাকলেন। তবে বিজেপির গোবরডাঙা এলাকার মণ্ডল সভাপতি আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ছোট পরিসরে যে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল সেটি বাঁশের ছিল না। লোহার কাঠামোর ওপর প্লাইউডের পাটাতন দিয়ে মঞ্চ বানানো হয়েছিল। মঞ্চ ভেঙে গিয়েছে বলা যায় না এক্ষেত্রে। কোনওভাবে মঞ্চ বসে যাওয়ায় এই বিপত্তি ঘটছে। আমরা সমস্ত দিত খতিয়ে দেখছি। অপরদিকে তৃণমূলের বক্তব্য, এই ধরণের ঘটনা কোনওমতেই কাম্য নয়, এটা নিয়ে রাজনীতি করা উচিৎ না। উল্লেখ্য, বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে এবার বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের বিশ্বজিৎ দাস। তিনি বিজেপির টিকিকে বনগাঁ বিধানসভায় জয়ী হয়ে বর্তমানে তৃণমূলে। ফলে বিধানসভায় পদত্যাগ করে বিশ্বজিৎ লোকসভা ভোটে দাঁড়িয়েছেন।
Discussion about this post