তৃণমূলের মহিলা মোর্চার ভয়ঙ্কর প্রতিবাদ! সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচীর মন্তব্য কে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। পাশাপাশি শাসকদলেরই নেতা অনুব্রত মণ্ডলের অডিও কান্ড যেখানে বোলপুরের আইসির মা ও স্ত্রীকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করতে শোনা যায় অনুব্রতকে, কিন্তু সেখানে নিশ্চুপ তৃণমূলের মহিলা মোর্চা। তবে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে এবার ভয়ঙ্কর প্রতিবাদে নামলো শাসকদের মহিলা মোর্চা।
আমরা সকলেই দেখেছিলাম সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে সরাসরি দীপক ঘোষের একটি বইকে ঘিরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একটি মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী। পোস্টটি প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্কের ঝড় বইতে শুরু করেছিল রাজনৈতিক মহলে। এবারে এর বিরুদ্ধে শুক্রবার একেবারে অভিনব কায়দায় প্রতিবাদ প্রদর্শন করে তৃণমূলের মহিলা মোর্চা। এই প্রতিবাদের চিত্রটি দেখলে বোঝা যাবে যে হাড়ির ওপর রীতিমত ঘোল ঢেলে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারা।
এই ভয়ংকর প্রতিবাদের পাশাপাশি দলের তরফে নানা রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই কাকলি ঘোষ দস্তিদারের পুত্র কৌস্তভ বাগচীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। অত্যাচারীদের থেকে রুখে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে উদ্দেশ্য করে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য তার ফলে শাসকদলের মহিলা মোর্চার অভিনব এক প্রতিবাদ কর্মসূচি। নারীর সম্মান রক্ষার্থে শাসক দলের এই প্রতিবাদ ধরে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অন্যদিকে যখন এই দলেরই নেতা অনুব্রত মণ্ডল বোলপুরের আইসির মা ও স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে কদর্য মন্তব্য করলেন, সেই ঘটনার প্রেক্ষাপটে কি কোন প্রতিবাদ দেখা গেল? কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর যেমন একজন নারী হিসাবে সম্মান রয়েছে তেমন ওই আইসির মা ও স্ত্রী এরও একই সম্মান রয়েছে তবে এক যাত্রায় পৃথক ফল কেন?
আর এই প্রশ্নের অনেকেরই দাবি রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস বাড়তি সুবিধা পাওয়ার খেলায় মেতে উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে করা বিজেপি নেতার এই মন্তব্য কে ঘিরে তৃণমূল মহিলা মোর্চার প্রতিবাদ প্রসঙ্গে নিজের মতামত পোষণ করলেন পশ্চিমবঙ্গ মন্ত্রিপরিষদের আইন বিষয়ক ও স্বাস্থ্য মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
পাশাপাশি এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন শশী পাঁজা, কী বলছেন রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রী শশী পাঁজা শুনুন,,অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী, মহিলা মোর্চার সদস্য থেকে স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলেই নারীর সম্মান নিয়ে ইতিবাচক কথা বলে থাকেন কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই ধরনের অসম্মানজনক ঘটনার পাশাপাশি যখন রাজ্যের অন্য এক প্রান্তে অন্য নারী অসম্মানিত তারই দলের নেতার দ্বারা সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে শাসকদলের তরফে নেই কোন প্রতিবাদ নেই কোন বিতর্ক।
Discussion about this post