পাখির চোখ ২০২৬। বিধানসভা নির্বাচন। ক্ষমতার লড়াইয়ে গুটি সাজাচ্ছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। তবে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে এখন থেকেই। মাঠে নেমে পড়েছে বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড নবজোয়ার কর্মসূচির কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন। অর্থাৎ বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার হবে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল জয়ের অন্যতম কারণ অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচি। লোকসভা নির্বাচনের সাফল্যতেও নবজোয়ারের ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করে ওয়াকিবহাল মহল। এইবারও সেই কর্মসূচির মধ্যে দিয়েই ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার করবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কর্মসূচির মূল্য লক্ষ্য হল, সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি দলের যোগাযোগ। পাশাপাশি তৃণমূল স্তরে কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করা। এমনকি মনে করা হচ্ছে, বিধানসভার প্রার্থী বাছাইও হবে এই কর্মসূচির মধ্যে দিয়েই।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় পরিকাঠামোতে খানিকটা পরিবর্তন করতে চাইছেন, তা কার্যত স্পষ্ট। পাশাপাশি শুদ্ধিকরণের প্রক্রিয়াতেও বরাবর জোর দিয়েছেন যুব নেতা।
আইন শৃঙ্খলার অবনতি, রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে কার্যত প্রচার চালিয়েছেন বিরোধীরা। এইবার সামনে রয়েছে আর জি কর-কাণ্ড। যা বিরোধীদের ভোট প্রচারে মূল অস্ত্র বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি, এই ঘটনায় মানুষের ক্ষোভ দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য ছাড়িয়ে দেশে। তাই সন্দেশখালি ইস্যুকে সামাল দেওয়া গেলেও আর জি করের ঘটনা কতটা সামাল দিতে পারবে তৃণমূল, সেটাই দেখার। এর পাশাপাশি রয়েছে বকেয়া ১০০ দিনের টাকা, যা সাধারণ মানুষকে ডিসেম্বরের মধ্যে ফিরিয়ে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয় রাজ্য সরকার। যদিও দীর্ঘ সময় ধরে মানুষের মধ্যে এই প্রকল্পের আদেও প্রভাব থাকে কিনা, সেই নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
তবে নবজোয়ারের মধ্যে দিয়ে বিরোধীদের চাপ সামলে সাধারণ মানুষের আস্থা কতটা ফিরিয়ে আনতে পারে অভিষেক এবং তাঁর বাহিনী, সেটাই দেখার।
Discussion about this post